ঋণের বোঝাতেই শেষ আর একটি পরিবার? ঘর থেকে উদ্ধার হল স্বামী, স্ত্রী ও তাঁদের দুই সন্তানের ঝুলন্ত দেহ। এবার কেরালা।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃতেরা হলেন বছর পঞ্চান্নের অনিল কুমার ও তাঁর স্ত্রী শ্রীজা। সঙ্গে তাঁদের দুই সন্তান। কেরলের ভাক্কাম শহরে সপরিবারে থাকতেন অনিল। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, গত কয়েক দিন ধরেই পরিবারের কাউকে বাড়ির বাইরে দেখা যাচ্ছিল না। এরপর আজ, বুধবার বাড়ি গিয়ে চারজনকেই ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, আর্থিক সমস্যায় ভুগছিলেন অনিল। সেকারণেই সম্ভবত সপরিবারে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। তবে এখনও পর্যন্ত বাড়ি থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। তদন্তে শুরু করেছে পুলিস।
এদিকে ২০ কোটির ঋণের বোঝা নিয়ে কার্যত পালিয়েই বেড়াচ্ছিল পঞ্চকুলার মিত্তররা। শেষে গাড়িতে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করলেন পরিবারে ৬ জন। গাড়ির বাইরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন পরিবারের কর্তা, ৪২ বছর বয়সি প্রবীণ মিত্তল। বাগেশ্বর ধামে ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলেন তাঁরা। আচমকাই একটি বাড়ির সামনে দীর্ঘক্ষণ গাড়িটিকে দাঁড়িয়ে থাকায় স্থানীয়দের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়। গাড়ির ভিতরে একাধিক মানুষের উপস্থিতি দেখে খবর দেওয়া হয় পুলিসে। পুলিস তাদের অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে, মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের মামাতো ভাই সংবাদমাধ্যমকে জানান, ব্যবসায় লোকসানের জেরে প্রায় ২০ কোটি টাকার ঋণে জড়িয়ে পড়ে পরিবারটি। যার জেরেই এই ঘটনা।