রবিবারেই মাতৃহারা পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় (Kaushik Ganguly)। বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তাঁর মা। শনিবার পরিচালক জানিয়েছিলেন মা-কে নিয়ে চিন্তিত তিনি। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। রবিবারেই ঘটে গেল অঘটন। মাকে হারালেন পরিচালক। স্বভাবতই শোকাহত কৌশিক সহ তাঁর স্ত্রী চূর্ণী গঙ্গোপাধ্য়ায়, তাঁর ছেলে উজান গঙ্গোপাধ্যায়ও। তবে শোকের মাঝেই আরজি কর-কান্ডের (R G Kar Incident) প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলাল গঙ্গোপাধ্যায় পরিবার।
রবিবার আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন টালিগঞ্জের অভিনেতা থেকে শুরু করে কলাকুশলীরা। খান্না মোড় থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিলে হাঁটেন তাঁরা। সেই মিছিলে পা মেলালেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্য়ায় ও তাঁদের ছেলে উজান গঙ্গোপাধ্যায়। রবিবার সকালেই জানা যায় কৌশিকের মাকে হারানোর খবর। তবে শোকাহত পরিবার বাড়িতে বসে থাকেনি। বেলা গড়াতেই তাঁরা হাজির হন টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োয়। সেখান থেকেই খান্না আসেন তাঁরা। তারপর সেখান থেকে মিছিলে হেঁটে আসেন শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে।
বাংলার মহিলাদের এই নিরাপত্তার দাবিতে যখন সকলেই পথে, তখন শোক বুকে নিয়েই পথে নামলেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। এই মিছিলে পা মিলিয়েছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, অঙ্কুশ হাজরা, ঐন্দ্রিলা সেন, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, ঋত্বিক চক্রবর্তী, বিশ্বনাথ বসু, কৌশিক সেন, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, রেশমি সেন, পাওলি দাম, ফ্যশন ডিজাইন অভিষেক রায়, রাজ চক্রবর্তী, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, অঞ্জন দত্ত, ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়, অরিন্দম শীল, সৃজিত মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে আরও অনেকেই।
এদিনে মিছিলে এসে কৌশিক বলেন, ‘আমাদের বাকস্বাধীনতা থাকা জরুরি, আমরা এভাবেই বড় হয়েছি।’ শাশুড়ি সম্পর্কে বলতে গিয়ে চূর্ণী বলেন, ‘মা মানুষ হিসাবে খুবই স্বাধীনচেতা ছিলেন। তিনি মনে করতেন যে নারীরা স্বাধীনভাবে ঘুরবে, ফিরবে, সব কাজ করবে। তাই আজকে উনি এমন একটা সময়ে চলে গেলেন যে আমার মনে হল উনি আমাদের বলে গেলেন যে তোমরা যাও। আমরা ন্যায় চাই। মেয়েরা রাতে বেরোবে না, এটা নিয়ম হতে পারে না। সুরক্ষা দেওয়াটা নিয়ম হতে হবে। এটাই আমাদের বক্তব্য’।