পুঞ্চের কৃষ্ণাঘাঁটি এলাকা দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছিল ৭ জন। তাদের চিহ্নিত করে খতম করল সেনাবাহিনী। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ওই ৭ জনের মধ্যে মিশে ছিল পাকিস্তান সীমান্তরক্ষী বাহিনী ব্যাট এর ৩ জওয়ান। গত ৫ ফেব্রুয়ারি ওই ৭ জন সীমান্ত পার করে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করার চেষ্টা করছিল। পাল্টা তাদের চ্যালেঞ্জ করে সেনাবাহিনী।
সীমান্তরক্ষা গৌন, ভারতে ঢুকে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর বিশেষ পারদর্শী পাকিস্তানের ব্যাট। গত ৫ ফেব্রুয়ারি তারা সেটাই করার চেষ্টা করছিল। তাদের সেই চেষ্টা ভেস্তে দেয় সেনা। নিহত জঙ্গিরা আল বদর-এর জঙ্গি বলেই মনে করা হচ্ছে।
এই সপ্তাহেই পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছিলেন, ভারতের সঙ্গে পড়ে থাকা সব সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করবে পাকিস্তান। আলাপআলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যারও সমাধান করে ফেলা হবে। শরিফের ওই কথা বলার পরপরই এভাবে সীমান্ত পার করার চেষ্টা করল পাক সেনা ও জঙ্গির দল। পাশাপাশি ওই মন্তব্যের পরপরই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে একটি বৈঠক করে জইশ ই মহম্মদ, লস্কর ই তৈবা। ওই বৈঠকে পাক সরকারের দ্বিচারিতার প্রবল সমালোচনা করা হয়।
ভারত বারবারই বলে আসছে, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। পকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো থাকবে তখনই যখন এই জঙ্গি উত্পাত বন্ধ হবে। কিন্তু বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও সেই কথা এখনও ঢোকেনি পাকিস্তানের কানে। পুঞ্চের ঘটনা ফের তা প্রমাণ করল।