বিজয়াদশমীর দিন দক্ষিণ কলকাতার নিউ আলিপুরের সুরুচি সংঘের ঠাকুর দেখতে এসেছিলেন শিল্পপতি সজ্জন জিন্দল। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের পুজো বলে পরিচিত এই পুজোয় এসে পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগের কথা জানালেন তিনি বৃহস্পতিবার। রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী তাঁকে মণ্ডপে স্বাগত জানিয়ে নিয়ে যান মূর্তির কাছে। সেখানে স্ত্রী সঙ্গীতা জিন্দলকে নিয়ে দেবীমূর্তিকে প্রণাম করে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন সজ্জন।
বাংলায় বিনিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমার মাথায় অনেক প্ল্যান রয়েছে। কিন্তু এখন সব কিছুই মা দুর্গার উপর নির্ভর করছে যে, তিনি তার কতটা বাস্তবায়িত করার সুযোগ দেবেন। বাংলায় বড় বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে আমার।” তিনি আরও বলেন, “আমি বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে নিজের মতামত জানিয়েছিলাম। মমতাদিদিরও (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) সহযোগিতা পেয়েছি। ভবিষ্যতে জিন্দল গোষ্ঠীর এ রাজ্যে বড়সড় বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।”
এই প্রথম কলকাতার দুর্গাপুজো দেখছেন বলেও জানিয়েছেন সজ্জন। বাংলার এই মহা উৎসব প্রসঙ্গে জিন্দল গোষ্ঠীর কর্ণধার বলেন, “আমি এখানে প্রথম বার এসেছি। আমার স্ত্রী সঙ্গীতা তো এখানকার মানুষ, তাই তিনি এখানে বহু বার এসেছেন। এখানে আসায় ভাল অভিজ্ঞতা হল আমার। এখানে এসে দেখলাম যে, মণ্ডপসজ্জা একেবারেই ভিন্ন ধরনের। আমরা মুম্বইতে থাকি। তাই আমরা সেখানকার গণপতি পুজোর কথাই জানি। কিন্তু এখানে এসে যা দেখছি, তা অন্য মাত্রার। এখানকার শিল্পী যা তৈরি করেছেন, তা সত্যিই অন্য মাত্রা পাচ্ছে। তাই তো এই উৎসব ইউনেস্কোর ঐতিহ্যে শামিল হয়েছে।”
নিজের মোবাইলে মণ্ডপের ভিডিয়ো রেকর্ডিং প্রসঙ্গে সজ্জন আরও বলেন, “আমি এখানকার ভিডিয়ো রেকর্ডিং করেছি। কারণ এইসব বিষয়গুলি আমি আমার স্মৃতিতে রাখতে চাই। সন্ধ্যায় সময় পেলে দেখব, নতুবা কখনও অবসর সময়ে ভিডিয়োগুলি আমি দেখব। এই বিষয়গুলি আমার সন্তানদের আমি দেখাব, কারণ এখানে শিল্পের মাধ্যমে আমাদের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে।”