সরযূতে ‘জলসমাধি’ অযোধ্যার প্রধান পূজারি সত্যেন্দ্র দাসের, অভিনব শেষকৃত্য ঘিরে বিতর্ক

প্রচলিত হিন্দু রীতি মেনে পঞ্চভূতে বিলীন হওয়ার জন্য অগ্নিদেবের কাছে সমর্পণ নয়। নয় সাধু-সন্তদের মতো ভূমিতে সমাধি। অযোধ্যার রামমন্দিরের প্রয়াত প্রধান পুরোহিত মহন্ত সত্যেন্দ্র দাসের সৎকার হল জলসমাধির মাধ্যমে। আর তা ঘিরেই দানা বাঁধল বিতর্ক।

সাকেত নগরীর সরযূ নদীতে প্রয়াত সত্যেন্দ্রের দেহ নৌকায় নিয়ে গিয়ে ফেলে দেওয়ার ওই ভিডিয়ো ফুটেজ (আনন্দবাজার অনলাইন যার সত্যতা যাচাই করেনি) ঘিরে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। প্রবীণ পূজারির দেহ যে ভাবে ভারী বস্তুতে বেঁধে জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে তা ‘অবমাননা’ কি না, তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সমাজমাধ্যমে এসেছে পরিবেশবিধির কথাও!

তবে অযোধ্যার সাধু-সন্তদের অনেকে বলছেন এই প্রথা বহু প্রাচীন। যদিও তা বর্তমানে খুবই বিরল। এই প্রথায় জলে দেহ সমাধিস্থ করার রীতি নাকি বহু সাধক সম্প্রদায়ের মধ্যে এখনও প্রচলিত রয়েছে। তাঁদের বিশ্বাস, জলসমাধির মাধ্যমে আত্মা দ্রুত মোক্ষ লাভ করে। অযোধ্যা নৃপতি রামচন্দ্রও নাকি সরযূতেই বিলীন হয়ে গিয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত বুধবার সকালে লখনউয়ের সঞ্জয় গান্ধী পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এসপিজিআই)-এ প্রয়াত হন সত্যেন্দ্র। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫। ১৯৯২ সালে বাবরি ধ্বংসের পর ১৯৯৩ সাল থেকে ধারাবাহিক ভাবে রামমন্দিরের প্রধান পুরোহিত পদে ছিলেন তিনি। এক সময় রামলালা যখন মন্দিরের বাইরে অস্থায়ী তাঁবুতে ছিলেন, তখন থেকেই মহন্ত সত্যেন্দ্রই ছিলেন নিত্যপুজোর দায়িত্বে। সত্যেন্দ্রের উত্তরসূরি নির্বাচন করতে চলতি মাসেই অযোধ্যার রামমন্দির ট্রাস্টের বৈঠক হবে বলে সূত্রের খবর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.