জলপাইগুড়ি’র ‘ভুয়ো’ নার্সিং প্রশিক্ষণ সেন্টারের কর্ণধার শান্তুনু শর্মার ফের দু’দিনের জেল হেফাজত

সময় যত বাড়ছে জলপাইগুড়ি’র ‘ভুয়ো’ নার্সিং প্রশিক্ষণ সেন্টার নিয়ে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সোমবার সেন্টারের কর্ণধার মূল অভিযুক্ত শান্তুনু শর্মাকে দশ দিনের জেল হেফাজতের পর জেলা আদালতে তোলে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। নতুন করে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে না চাওয়ায় শান্তুনুকে দুই দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশে দিয়েছেন জেলা আদালতের থার্ড জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বিচারক, বলে জানালেন সহকারী সরকারি আইনজীবী প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়।

১৯ সেপ্টেম্বর পান্ডা পাড়ার ভুয়ো নার্সিং প্রশিক্ষণ সেন্টারে অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেয় জেলা স্বাস্থ্য দফতর। এরপর সেন্টারে প্রশিক্ষণ নিতে আসা পড়ুয়ারা থানায় অভিযোগ জানায় যে, তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে মোটা টাকার বিনিময়ে। এরপর থেকে সেন্টারের কর্ণধার মূল অভিযুক্ত শান্তুনু শর্মা পলাতক ছিলেন। প্রায় তিন মাস বাদে ১৩ ডিসেম্বর শান্তুনু জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর পুলিশ অভিযুক্তকে দশ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করে। এদিন পুলিশ হেফাজতের পর জেলা আদালতে শান্তুনুকে তোলা হয়।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ সেন্টারের তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতি ছাড়া অবৈধভাবে এই সেন্টার চালিয়ে যাচ্ছিলেন শান্তুনু। অসংখ্য পড়ুয়ার থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা তুলেছিল শান্তুনু। ভুয়ো সার্টিফিকেট তৈরি করে পড়ুয়াদের দেওয়া হত মোটা টাকার বিনিময়ে। আদালতের সহকারী সরকারি আইনজীবী প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন,” এদিন ছুটির দিন থাকায় থার্ড জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলাটি উঠেছিল। বিচারক অভিযুক্তকে দুই দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এই অবৈধ নার্সিং সেন্টার থেকে তিন কোটি টাকা তোলা হয়। পুলিশের তদন্ত সঠিক পথে যাচ্ছে।”

এদিকে অভিযুক্ত শান্তুনু পক্ষের আইনজীবী উজ্জ্বল চক্রবর্তী বলেন, “এদিন ছুটির দিন ছিল। এই কারণে স্পেশাল কোর্টে অভিযুক্তকে তোলা হয়েছিল। দু’দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ২৭ ডিসেম্বর আদালতে জামিনের আবেদন করা হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.