শনিবার সকাল থেকে ভারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে জলপাইগুড়ি শহরে। মূল রাস্তা থেকে শুরু করে অলিগলির রাস্তা এখন জলে থৈ থৈ করছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের ঘরে জল ঢুকে গিয়েছে। বিপাকে জনজীবন।

আবহাওয়া দফতর সূত্র জানা গিয়েছে, গতকাল থেকে আজ সকাল পর্যন্ত জলপাইগুড়ি শহরে বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৫৬ মিলিমিটার। শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া করলা নদী ফুলেফেপে উঠেছে। নদীর জল কানায় কানায়। নদীর যেসব জায়গায় বাঁধ নেই সেই জায়গা দিয়ে লোকালয়ে জল ঢুকে গিয়েছে। বিশেষ করে শহরের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের পরেশমিত্র কলোনি, নিচ মাঠ এলাকা, এছাড়া ইন্দিয়া কলোনির একাংশে জল ঢুকে গিয়েছে। এদিকে শহরের ডিবিসি রোড, কদমতলা, স্টেশন রোড, উকিল পাড়া, কামার পাড়া, বেগুনটারি, দিনবাজার, মার্চেন্ট রোড এখন জলে থৈ থৈ করছে। জল পারিয়ে যাতায়াত করছেন শহরের বাসিন্দারা। শহরের নিউটাউন পাড়া, মহামায়া পাড়া, পান্ডা পাড়ার একাংশ, মোহন্ত পাড়া, অরবিন্দ নগর সহ বিভিন্ন জায়গা এখন জলের তলায়। ঘরবন্দি কয়েকশো পুর নাগরিক। পুরসভার দাবি, প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে লাগাতার। এই কারণে জলমগ্ন পরিস্থিতি। শহরের কোথায় কী অবস্থা তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
পুরপ্রধান পাপিয়া পাল ও উপ পুরপ্রধান সৈকত চট্টোপাধ্যায় প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করলেন। নিকাশি ব্যবস্থা উন্নত কবে হবে সেই প্রশ্ন তুলছেন শহরবাসী।
২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেসের পুর প্রতিনিধি অম্লান মুন্সি বলেন, “অল্প সময়ের মধ্যে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। সেই জল বের করার জন্য যে উন্নত নিকাশি ব্যবস্থা প্রয়োজন পুরসভা তা করতে পারেনি। এই কারণে সব ওয়ার্ড জলমগ্ন।”

উপ পুরপ্রধান বলেন, “১ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে ‘ফ্লাড শেল্টার’ খোলা হয়েছে। খাবার ও জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
পুরপ্রধান বলেন, “অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। এই কারণে সব ওয়ার্ড জলমগ্ন। একাধিক জায়গায় পরিদর্শন করলাম। করলার জল যে সব জায়গায় ঢুকেছে তাদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে আসা হচ্ছে। পরিস্থিতির উপর নজরদারি চলছে।”