পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের নিরাপত্তার কথা ভেবে এ বার মন্দিরের চার দিকে নজর মিনার বসানোর কথা ভাবছে সে রাজ্যের সরকার। বৃহস্পতিবার ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন জানিয়েছেন, শীঘ্রই ওই ওয়াচটাওয়ারগুলি বসানো হবে। সেখানে মোতায়েন করা হবে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীদের।
পৃথ্বীরাজ জানিয়েছেন, ওয়াচটাওয়ারগুলি থেকে জগন্নাথ মন্দির চত্বরের মধ্যে ওড়া কোনও ড্রোন কিংবা উড়ন্ত যে কোনও বস্তুর উপর কড়া নজরদারি জারি রাখা হবে। সম্প্রতি এমন একটি ঘটনার পরেই মন্দিরের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আইনমন্ত্রীর কথায়, ‘‘মন্দিরের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা রাজ্য সরকারের কর্তব্য। এ ছাড়া, মন্দির চত্বরে ড্রোন ওড়ানো নিয়ে পুলিশেরও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’’
ঝুঁকির বিবেচনা করে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বরাবরই নিশ্ছিদ্র। তবে সম্প্রতি নানা ঘটনার পর সেই নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেই আরও কড়া করতে চাইছে সরকার। প্রস্তাবিত নিরাপত্তা পরিকল্পনার মধ্যে নতুন ওয়াচটাওয়ার বসানো ছাড়াও রয়েছে টাওয়ারগুলিতে ২৪ ঘণ্টার জন্য বিশেষ দল মোতায়েন করা, যাঁদের কাছে থাকবে অত্যাধুনিক নজরদারি সরঞ্জাম। ওয়াচটাওয়ারগুলির অবস্থান এমন ভাবে নির্বাচন করা হবে, যাতে মন্দিরপ্রাঙ্গণ পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পর্যবেক্ষণ করা যায়। নতুন নিরাপত্তা প্রোটোকলগুলি কার্যকর করতে মন্দির কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি সক্রিয় থাকবে স্থানীয় পুলিশও। ওয়াচটাওয়ারের দায়িত্বে নিযুক্ত কর্মীদের নিয়মিত নিরাপত্তা সংক্রান্ত নানা অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। এ নিয়ে সম্প্রতি মন্দিরের নিরাপত্তাকর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠকও করেছেন পুরীর পুলিশ সুপার বিনীত আগরওয়াল। মন্দির চত্বরে উড়ন্ত ড্রোন শনাক্ত করে কী ভাবে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে সংক্রান্ত বিষয়েও আলোচনা হয়েছে সেই বৈঠকে।
প্রসঙ্গত, জগন্নাথ মন্দির চত্বরে ড্রোন ওড়ানো নিষিদ্ধ। তবুও চলতি বছরের গোড়াতেই ভোরবেলা পুরীর মন্দিরের উপর প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে একটি রহস্যময় ড্রোন ওড়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে! কিন্তু কী ভাবে সেটি মন্দির চত্বরে এল, ড্রোন ওড়ানোর নেপথ্যে কে বা কারা জড়িত, তা জানা যায়নি। পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে অনুসন্ধানকারী দল তৈরি করে শুরু হয় তদন্ত। ওই ঘটনার পরেই মন্দিরের নিরাপত্তা নিয়ে পদক্ষেপ করল সরকার।