ধোনির সঙ্গে কথা বলতে গেলে এখনও ভয় পান জাডেজা, সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন পুলিশকর্তা মহেন্দ্রও!

মহেন্দ্র সিংহ ধোনির মেজাজ যদি খারাপ থাকে তা হলে কথা বলতে গেলে বিপদ হবে। তাই এখনও ধোনির সঙ্গে কথা বলার আগে চিন্তাভাবনা করে নেন রবীন্দ্র জাডেজা। নিজেই এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, ক্রিকেটে সাফল্যের নেপথ্যে দুই মহেন্দ্রের কথাও উল্লেখ করেছেন।

রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে জাডেজা কথা বলেছেন ধোনিকে নিয়ে। ভারতের অলরাউন্ডারের কথায়, “২০০৫ সালে চেন্নাইয়ে চ্যালেঞ্জার ট্রফিতে প্রথম বার ধোনির সঙ্গে আলাপ। আমি মুম্বই থেকে যাচ্ছিলাম। বিমানে ধোনির সঙ্গে দেখা হয়। আমি ইকনমি ক্লাসে থাকলেও ও ছিল বিজ়‌নেস ক্লাসে। সবাই বলছিল ওখানে ধোনি বসে আছে। কিন্তু আমার দেখা করতে ইতস্তত লাগছিল। এখনও যদি বুঝতে পারি ওর মেজাজ ঠিক নেই, তা হলে কথা বলতে যাই না। ও হয়তো কিছু বলবে না। কিন্তু মুখের ভঙ্গিমায় বুঝিয়ে দেবে ওর মেজাজ ঠিক নেই।”

ধোনির অধীনে ভারতীয় দল এবং আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসে দীর্ঘ দিন খেলেছেন জাডেজা। শুধু এই মহেন্দ্র নন, জাডেজার উঠে আসার নেপথ্যে রয়েছেন আর এক মহেন্দ্র।

জাডেজা বলেছেন, “আমার ক্রিকেটযাত্রার নেপথ্যে দু’জন মহেন্দ্র রয়েছে, মহেন্দ্র সিংহ চৌহান এবং মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ৮-৯ বছর বয়স থেকে জামনগরের ক্রিকেট বাংলো বলে একটা মাঠে খেলা শুরু করি। আমার কোচ এখনও সেই মাঠে ক্রিকেট শেখান। তিনিই মহেন্দ্র সিংহ চৌহান। আমি মাহিভাইকেও ওঁর কথা বলেছি।”

ক্রিকেট মাঠে জাডেজার ফিল্ডিং বার বার প্রশংসিত হয়েছে। ফিটনেসের তুঙ্গে না থাকলে সেই ফিল্ডিং সম্ভব নয়। জাডেজা কৃতিত্ব দিয়েছেন কোচ চৌহানকেই। বলেছেন, “উনি পুলিশকর্তা ছিলেন। ওঁর মানসিকতা হল, ক্রীড়াবিদকে সব সময় ফিটনেসের তুঙ্গে থাকতে হবে। উনি বিশ্বাস করেন, ব্যাটিং এবং বোলিং কোনও ভাবে হয়ে যাবে। কিন্তু খেলতে গেলে অনেকটা দৌড়োতে হবে। তখন জামনগরে রোজ ১৫-২০ কিলোমিটার দৌড়োতাম। এখন যে ফিটনেস রয়েছে তার নেপথ্যে রোজকার সেই দৌড়টাও একটা কারণ।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.