গাজ়া ভূখণ্ডের ৭৭ শতাংশই দখল করে রেখেছে ইজ়রায়েলি সেনা। এমনই দাবি করল প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। একের পর এক শহরে দখল নিচ্ছে ইজ়রায়েল। কখনও ধমকে, আবার কখনও বা ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে— শহরের পর শহর খালি করে দেওয়া হচ্ছে বলেই দাবি হামাসের। অন্য দিকে, ইজ়রালেলি সেনার হামলার তেজ কমছে। রবিবার গাজ়ায় নতুন করে ইজ়রায়েলি হামলায় ২৩ জন প্যালেস্টাইনির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি স্থানীয় স্বাস্থ্য দফতরের। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন সাংবাদিক এবং উদ্ধারকারী দলের ঊর্ধ্বতন কর্তাও।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রবিবার গাজ়ার দক্ষিণে খান ইউনিস, উত্তরে জাবালিয়া এবং মধ্য গাজ়ার নুসেইরাতে হামলা চালায় ইজ়রায়েলি সেনা। জাবালিয়াতে মৃত্যু হয়েছে স্থানীয় সাংবাদিক হাসান মাজদি আবুর। ২০২৩ সালে শুরু হওয়া রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর থেকে এই নিয়ে ২০০ জন সাংবাদিকের মৃত্যু হল গাজ়ায়। যদিও রবিবারের হামলা নিয়ে এখনও পর্যন্ত ইজ়রায়েলের তরফে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের আল কাশিম ব্রিগেড ইজ়ারায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালানোর পরে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ফৌজ ধারাবাহিক ভাবে গাজ়ায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। এর পর কাতারের মধ্যস্থতায় এবং আমেরিকা ও মিশরের প্রচেষ্টায় গত ১৫ জানুয়ারি রাতে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছিল ইজ়রায়েল সরকার এবং হামাস। ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকরও হয়েছিল। কিন্তু পণবন্দি মুক্তি ঘিরে টানাপড়েনের জেরে মার্চের গোড়ায় একতরফা ভাবে যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজ়ায় আবার হামলা শুরু করেছে ইজরায়েলি সেনা।
গত ১৮ মে ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু পুরো গাজ়া ভূখণ্ড দখলের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তার পরেই খান ইউনূস এবং আশপাশের শরণার্থী শিবিরগুলি খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সেনার তরফে। গাজ়ার ২৩ লক্ষ প্যালেস্টাইনি বাসিন্দার মধ্যে প্রায় প্রায় অর্ধেক ঘরছাড়া হয়ে বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। হামাসের দাবি, এই ভাবেই গাজ়ার ৭৭ শতাংশ দখল করেছে ইজ়রায়েল।