গম্ভীরের প্রশিক্ষণে প্রথম হার ভারতের, দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যাটিং বিপর্যয় রোহিত-বিরাটদের

শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হেরে গেল ভারত। দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচে ৩২ রানে হার গৌতম গম্ভীরের দলের। আরও এক বার ব্যাটিং বিপর্যয় ভারতের। গম্ভীর ভারতের দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম কোনও ম্যাচ হারল দল। শ্রীলঙ্কার স্পিনার জেফ্রি ভ্যান্ডারসে একাই নিলেন ৬ উইকেট।

টি-টোয়েন্টি সিরিজ় জিতলেও এক দিনের ম্যাচে সমস্যায় ভারত। প্রথম ম্যাচ টাই হয়েছিল। শ্রীলঙ্কার করা ২৩০ রান তুলতে নেমে ব্যর্থ হয়েছিলেন বিরাটেরা। রবিবার ২৪০ রান করে শ্রীলঙ্কা। সেই রান তুলতেই পারল না ভারত। ২০৮ রানে শেষ হয়ে গেল রোহিতদের ইনিংস।

হারের দায় নিতে হবে ভারতীয় বোলারদেরও। ১৩৬ রানে ৬ উইকেট চলে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কার। সেখান থেকে ম্যাচে ফিরে আসে তারা। শেষ ১৫ ওভারে ওঠে ১০৪ রান। পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা। ওপেনার পাথুম নিশঙ্ক কোনও রান না পেলেও তাঁর সঙ্গী অভিস্কা ফার্নান্ডো ৪০ রান করেন। শেষ বেলায় গুরুত্বপূর্ণ ৪০ রান করেন কামিন্দু মেন্ডিস। দুনিথ ওয়ালালাগে করেন ৩৯ রান। তাঁরাই দলকে ২৪০ রানের সুরক্ষিত স্কোরে পৌঁছে দেন।

২৪১ রানের লক্ষ্য মাথায় নিয়ে খেলতে নেমে শুরুটা ভাল করে ভারত। রোহিত শর্মা ৬৪ রান করেন। শুভমন গিল করেন ৩৫ রান। ৯৭ রানের জুটি গড়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু বিরাট (১৪) ইনিংস গড়তে ব্যর্থ হন। প্রশ্ন উঠছে চার নম্বরে শিবম দুবে (০) এবং পাঁচ নম্বরে অক্ষর পটেলকে (৪৪) নামানো নিয়েও। অক্ষর রান পেলেও দলে শ্রেয়স আয়ার (৭) এবং লোকেশ রাহুলের (০) মতো ব্যাটার থাকতে কেন তাঁদের আগে পাঠানো হল, তা বোঝা কঠিন।

ভারতের কাজটা কঠিন করে দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার ভ্যান্ডারসে। ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গের জায়গায় দলে নেওয়া হয়েছিল তাঁকে। ৩৪ বছরের স্পিনার দলে সুযোগ পেয়ে সেটা কাজে লাগালেন। ১০ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে নিলেন ৬ উইকেট। চরিত আসালঙ্ক নেন তিনটি উইকেট। আরশদীপ সিংহ রান আউট হন। ২০৮ রানে শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস।

সিরিজ়ে ১-০ এগিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা। হাতে মাত্র একটি ম্যাচ। অর্থাৎ ভারতের পক্ষে আর সিরিজ় জয় সম্ভব নয়। ৭ অগস্ট শেষ ম্যাচ। সেই ম্যাচে হারলে আরও লজ্জার মুখে পড়তে হবে ভারতকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.