কুইন্স পার্ক ওভালে বৃষ্টি-বিঘ্নিত আরেকটি দিনে ভারতের জয়ের রাস্তা তৈরিতে রোহিত শর্মা এবং ঈশান কিশান টি-টোয়েন্টি মোডে ব্যাটিং করেছেন। রোহিত ৩৫ বলের হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন। এটি টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর দ্রুততম। এর আগে কিশান ৩৩ বল পঞ্চাশ করেন। এই দুজনের হাত ধরে ভারত ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩৬৫ রানের টার্গেট দেয়।
স্পিনারদের জন্য ভালো পোর্ট-অফ-স্পেনের পিচে উইন্ডিজরা ২ উইকেট হারিয়ে ৭৬ রানে দিন শেষ করে। সোমবারের আবহাওয়া পূর্বাভাস বৃষ্টির খবর নিয়ে আসছে। তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং আবহাওয়া এই দুইকেই হারাতে হলে ভারতকে বল হাতে দ্রুত উইকেট তোলায় মন দিতে হবে।
প্রথম ওভারেই কেমার রোচের বলে এক্সট্রা-কভারের উপর দিয়ে যশস্বী জয়সওয়ালের ছয় ম্যাচের গিয়ার শিফট করে দেয়। রোচের পরের ওভারে, রোহিত তাকে মিডউইকেটের উপর দিয়ে বাউন্ডারিতে ফেলেন।
রোহিতকে প্রথমে ২৫ রানে শ্যানন গ্যাব্রিয়েল এবং তারপরে ২৯ রানে অ্যালিক অ্যাথানাজ জীবন দেন। দুজনের হাতেই মোটামুটি সোজা সুযোগ ছিল। জুন-জুলাইয়ে একদিনের বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করেছিল। সাদা বলের কোচ ড্যারেন স্যামি বলেন তাঁরা এই মুহূর্তে ‘সবচেয়ে খারাপ ফিল্ডিং’ করছে।
রোহিত শেষ পর্যন্ত ফাইন লেগে আলজারি জোসেফের হতে ধরা পড়েন। জয়সওয়াল ভারতকে ১২.২ ওভারে ১০০ ছুঁতে সাহায্য করেন। এটি টেস্ট ক্রিকেটে একটি টিমের জন্য দ্রুততম শতরান। জয়সওয়াল আরও দ্রুত রান এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু ৩০ বলে ৩৮ রান করে জোমেল ওয়ারিক্যানের বলে স্লগ-সুইপ মারতে গিয়ে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। প্রতিকূল আবহাওয়া বিকালের সেশনে মাত্র তিন ওভার খেলার সুযোগ দেয়।
কিষানও এই ইনিংসে ওয়ারিকানকে মাথার উপর দিয়ে এক-হাতে ছয় মারেন। এমনই একটি এক হাতে মারা ছইয়ে নিজের পঞ্চাশে পৌঁছে যান কিষাণ এবং এর কিছুক্ষণ পরেই, রোহিত দ্বিতীয় ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। সেই সময় ভারতের রান ছিল ২৪ ওভারে ২ উইকেটে ১৮১ রান। শুভমান গিল ৩৭ বলে অপরাজিত ২৯ রান করেন।
চা-পরবর্তী বর্ধিত সেশনে ভারতের জন্য বেশি সুইং ছিল না। তাই, সিরাজ ও অন্যান্যরা শর্ট লেন্থে বল করা শুরু করেন। কিন্তু ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট এবং তেগনারায়ন চন্দরপল প্রস্তুত ছিলেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসের তুলনায় দ্বিতীয় ইনিংসে ব্র্যাথওয়েট বেশি ব্যস্ত ছিলেন। ড্রাইভ করে সিরাজকে চার মারেন তিনি। চন্দরপল ২১ বল কাটিয়েছেন মাত্র ২ রানে এবং ৬২ বল খেলেন একটিও বাউন্ডারি না মেরে। যদিও মাত্র ৩৮ রানেই প্রথম উইকেটের পার্টনারশিপ শেষ হয়ে যায়। অশ্বিনলে তাঁর চতুর্থ ওভারে শর্ট ফাইন লেগে ব্র্যাথওয়েট সুইপ করেন এবং ফিল্ডারের হাতে ধরা পড়েন। তার পরের ওভারে, রাউন্ড দ্য উইকেটে কোণ পরিবর্তন করার পরপরই অশ্বিন শূন্য রানে কার্ক ম্যাকেঞ্জিকে আউট করেন। রবীন্দ্র জাদেজাও তীক্ষ্ণ টার্ন এবং বাউন্স বের করেন পিচ থেকে।