মুর্শিদাবাদকে (Murshidabad) কেন্দ্র করে ভারত (India) বাংলাদেশ (Bangladesh) বিবাদ। মুর্শিদাবাদ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিক্রিয়ায় ক্ষুব্ধ দিল্লি। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে, বাংলাদেশের উচিত নিজেদের দেশে সংখ্যালঘুদের (minorities) সুরক্ষা আগে নিশ্চিত করা।
বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ সরকারের তরফে মুর্শিদাবাদ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। মুর্শিদাবাদের ঘটনায় বাংলাদেশের নাম জড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। শফিকুল বলেন, ‘মুর্শিদাবাদের সাম্প্রদায়িক হিংস্রতায় বাংলাদেশের নাম জড়ানোর চেষ্টাকে আমরা সমালোচনা করছি।’
বাংলাদেশের অভিযোগ, মুর্শিদাবাদে মুসলিমদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত। তাঁদের জীবন ও সম্পত্তি বিপন্ন। শফিকুল বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার মুসলিমদের উপর হামলা এবং তাঁদের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে। বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতি আর্জি জানাচ্ছে যে, সেখানে সংখ্যালঘ মুসলিমদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক। আর বাংলাদেশ সরকারের ওই প্রতিক্রিয়াতেই চরম চটেছে ভারত। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, বাংলাদেশের এই মন্তব্য খুবই অস্বচ্ছ।
মুর্শিদাবাদের সাম্প্রতিক গোলমালে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের হাত আছে বলে নানা মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তাই যদি হয়ে থাকে তাহলে সীমান্তরক্ষী বাহিনী দায় এড়াতে পারে না। বৃহস্পতিবারই কড়া বিবৃতি দেয় বাংলাদেশ।
কেন বাংলাদেশ এরকম করছে?
সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের ঘটনার সমালোচনা করেছে ভারত। এবার এরই পাল্টা খেলা খেলতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। (ওয়াকফ সূত্রে) মুর্শিদাবাদে মুসলিমদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে– এরকম একটা মন্তব্য করে তৈরি করে বাংলাদেশ ভারতের সমালোচনা করছে। আসলে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নিপীড়নের ঘটনা নিয়ে ভারত সরকার বারবার সরব হয়েছে।