আমেরিকায় কোনও চিঠি বা পার্সেল পাঠানোর ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করল ভারতীয় ডাক বিভাগ। আপাতত আমেরিকায় কোনও চিঠি বা পার্সেল পাঠানো যাবে না। চলতি মাসের শেষ থেকেই কার্যকর হচ্ছে নয়া নিয়ম। তবে কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি আমেরিকা শুল্কনীতিতে বড়সড় পরিবর্তন করেছে, যা চলতি মাসের শেষের দিক থেকে কার্যকর হবে। সেই আবহে এ বার ভারতও আমেরিকার সঙ্গে ডাক যোগাযোগ আপাতত সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ৩০ জুলাই ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন একটি নির্দেশিকা জারি করে জানায়, এত দিন ৮০০ মার্কিন ডলার মূল্য পর্যন্ত কোনও সামগ্রী আমেরিকার বাইরে পাঠানোর ক্ষেত্রে কোনও শুল্ক গুনতে হত না। তবে এ বার সেই নিয়ম পাল্টে যাচ্ছে। শুল্কমুক্ত পরিষেবা স্থগিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তার পরেই ভারতীয় ডাক বিভাগ পরিষেবা সাময়িক স্থগিতের কথা জানাল।
ডাক বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২৯ অগস্ট থেকে আমেরিকায় পাঠানো সমস্ত ডাক পণ্যে তাদের মূল্যের ভিত্তিতে শুল্ক আরোপ করা হবে। সেই শুল্ক নির্ধারণ করা হবে ‘আন্তর্জাতিক জরুরি অর্থনৈতিক শক্তি আইন’-এর অধীনে। বলা হয়েছে, শুধুমাত্র ১০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত মূল্যের উপহার সামগ্রী শুল্কমুক্ত থাকবে।
ভারতীয় ডাক বিভাগ ২৯ অগস্ট থেকে পরিষেবা স্থগিতের কথা জানালেও ২৫ অগস্টের পর থেকেই আমেরিকায় পাঠানোর ক্ষেত্রে কোনও চিঠি বা সামগ্রীর বুকিং হবে না। বিমান সংস্থাগুলি জানিয়েছে, ২৫ অগস্টের পরে তারা আর আমেরিকায় পাঠানো কোনও পার্সেল নিয়ে যেতে পারবে না। সেই কারণেই ভারতীয় ডাক বিভাগ আমেরিকার জন্য সকল প্রকারের সামগ্রীর বুকিং স্থগিত রাখছে বলে জানানো হয়েছে
যে সব গ্রাহক ইতিমধ্যেই আমেরিকায় পার্সেল পাঠানোর জন্য বুকিং করেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও নতুন নিয়ম বলবৎ হচ্ছে। ওই সব গ্রাহকের পার্সেল পাঠানো যাবে না বলেই জানিয়েছে ডাক বিভাগ। তবে বুকিংয়ের জন্য গ্রাহকেরা যা খরচ করেছেন, তা ফেরত দেওয়া হবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। ডাক বিভাগ জানিয়েছে, পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে যত দ্রুত সম্ভব আমেরিকায় পরিষেবা সম্পূর্ণ ভাবে চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সংবাদ সংস্থা ‘রয়টার্স’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধু ভারত নয়, অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স, বেলজিয়ামের মতো দেশগুলিও আমেরিকায় ডাক পরিষেবা স্থগিত করেছে। উল্লেখ্য, মস্কোর সঙ্গে নয়াদিল্লির বাণিজ্যিক সম্পর্কের কারণে আমেরিকা এবং ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের উপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ২৭ অগস্ট থেকে তা কার্যকর হওয়ার কথা।