এবার পাক রাজধানীর মাটি কাঁপল ভারতের ছোবলে। পাকিস্তানের পর পর আক্রমণের পরে প্রত্যাঘাতে ফুঁসে উঠল ভারত। লাহোর আক্রমণের পরে ভারত এবার আক্রমণ করল ইসলামাবাদ, করাচি, শিয়ালকোট। একদিকে হানাদার পাকিস্তান। অন্যদিকে রাত জাগছে ভারত।
ওদিকে জম্মুর পাশাপাশি জয়সলমীরেও আঘাত হেনেছে দুর্বৃত্ত পাকিস্তান। তবে পাকিস্তানের ৭০টি ড্রোন আক্রমণ করলেও বুক চিতিয়ে লড়েছে ভারতের বীর বায়ুসেনা! বাঙালির মনে এ সময়ে একটাই প্রশ্ন– সোনার কেল্লা কি সুরক্ষিত?
সীমান্ত এলাকা, রাজস্থান জম্মু কাশ্মীরে পাকিস্তানের আক্রমণের পরে ভারত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকল। তবে পাক মিসাইলকে কোনও ক্ষতি করতে দেয়নি ভারতীয় সেনা। ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম বীর বিক্রমে বুক চিতিয়ে লড়ছে। পাক আক্রমণের পরে ব্ল্যাক আউট চলছে জয়সলমীরে। একই অবস্থা বিকানের, যোধপুরেও। জম্মুতে অন্ধকার, বলা হচ্ছে কমপ্লিট ব্ল্যাকআউট। তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে সেখানে। বম্বিং হচ্ছে। শেলিং হচ্ছে।
জম্মু কাশ্মীর আক্রমণ করল পাকিস্তান। জম্মু এয়ারপোর্ট আক্রমণ করল পাকসেনা। জম্মুর সড়কে বোম ফেলা হয়েছে বলে খবর। জম্মুর আকাশে হানাদার পাকিস্তানের ৮ মিসাইল চুরমার করল ভারতীয় সেনা। কী দিয়ে করল? সেই সুদর্শন চক্র। জম্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের পিছনের গেটে তিনটি পাক ড্রোন নামিয়ে ফেলেছে ভারতীয় সেনা। দুটি ড্রোন নামিয়ে ফেলা গিয়েছে পাঠানকোটে। সারক্ষণ বাতাসে সাইরেন। এয়ার রেড সাইরেন বাজছে।
সুদর্শন চক্র
কী এই সুদর্শন চক্র, এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম? ভারতীয় বায়ুসেনার S-400 ট্রায়াম্ফ এয়ার ডিফেন্স এই সিস্টেমটি ভারত কিনেছে রাশিয়া থেকে। এর নাম দিয়েছে– ‘সুদর্শন চক্র’! সিস্টেমটি ১৯৯০-এর দশকে রাশিয়ার আলমাজ সেন্ট্রাল ডিজাইন ব্যুরোর তৈরি। ২০০৭ সাল থেকে রাশিয়ান সেনাবাহিনীতে রয়েছে। ভারত ২০১৮ সালে রাশিয়ার সঙ্গে ৫.৪৩ বিলিয়ন ডলারের এক চুক্তির মাধ্যমে এটি কিনেছে। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৩৫,০০০ কোটি টাকা! অন্তত ৬০০ কিলোমিটার দূর থেকে উড়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্র চিহ্নিত করতে পারে এই সুদর্শন চক্র। ৪০০ কিলোমিটার দূর থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করতে পারে। ভারতের চার জায়গায় এই সিস্টেম মোতায়েন রয়েছে। রয়েছে পঞ্জাবে এবং পাঠানকোটে, রাজস্থান এবং গুজরাতে।
অপারেশন সিঁদুর
মঙ্গলের রাতে ভারতের আক্রমণ আছড়ে পড়ে পাকিস্তানের মাটিতে। পাকিস্তান কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাত্র ২৫ মিনিটের অপারেশনে কাজ শেষ করে ভারত। ভারতের অপারেশনের পরে পাকিস্তানও পালটা হামলা করে। লাভ হয়নি! ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের সব আক্রমণই ব্যর্থ করে দেয় বলে খবর। বুধবার রাতে এবং বৃহস্পতিবার সকালেও ভারতের কয়েকটি জায়গার সেনা ছাউনিতে ড্রোন এবং মিসাইল হামলার ছক কষে পাকিস্তান। ভারতের ১৫টি শহরকে টার্গেট করে তারা। কিন্তু ভারতীয় সেনাবাহিনীর সতর্কতার কারণে তাতেও ব্যর্থ হয় পাকিস্তান! কী করে? ভারতীয় সেনাবাহিনী রাশিয়ার S-400 অর্থাৎ ‘সুদর্শন চক্র এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেমে’র সাহায্যে পাকিস্তানের সব ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে দেয়।
পাকিস্তান ও ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরে’ হামলা
পরশু রাতে পাকিস্তান ও ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরে’ হামলা চালিয়েছিল ভারত। বেছে বেছে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিগুলি উড়িয়েছে তারা। জৈশ লস্কর, হিজবুল মুজাহিদিনের ডেরায় হামলা চালিয়েছে। বড় রকমের স্ট্রাইক ঘটেছে ভাওয়ালপুর মুরিদকে অঞ্চলে। যেখানে প্রাথমিক ভাবে ২৫ থেকে ৩০ জঙ্গি নিকেশ হয় ভোরের দিকে। মাত্র ২৫ মিনিটে ভারত ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানের উপর। হামলা মোট ন’টি জায়গায়। ভারত তার আক্রমণে খুবই সংযম দেখিয়েছে। সাধারণ মানুষের বসবাসের কোনও জায়গায় তারা আক্রমণ শানায়নি। সবটাই বেছে-বেছে, জঙ্গিদের ঘাঁটিতে। শীর্ষ সূত্র বলছে, এই স্ট্রাইকে মারা গিয়েছে জৈশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তৈবা, হিজবুল মুজাহিদিনের জঙ্গিরা। খবর তেমন মিলছে না। তবে, যতটুকু জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানে ১০০-র কাছাকাছি মৃত্যু ঘটেছে। আর ক্রস-ফায়ারের জেরে ভারতের অন্তত তিনজন মারা গিয়েছেন। পোস্ট-স্ট্রাইক এক বিবৃতি দিয়েছে ভারতীয় সেনা। এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়োও শেয়ার করেছে তারা এবং লিখেছে ‘জাস্টিস ইজ সার্ভড’! ইনটেলিজেন্স এজেন্সি কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার হিসেব করছে। টার্গেট লোকেশনও খুঁজে দেখছে। প্রাথমিক হিসেবে ৮০-৯০ জন জঙ্গি মারা গিয়েছে। তবে অপারেশন সিন্দুরের জেরে মাসুদ আজহারের পরে মারা গিয়েছে আব্দুল মালিক মুদাসসিরের মতো ভয়ংকর জঙ্গিরাও। এদের পোশাকি নাম এইচভিটি– এরা লস্কর-ই-তৈবার হাই ভ্যালু টেররিস্ট।