India Pakistan tension: ‘রাত আড়াইটেয় মুনীরের ফোন…’, নূর খানে ভারতের প্রত্যাঘাতের কথা স্বীকার শাহবাজের…

পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Terror Attack) পর ভারতের অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) অনেক ঘটনাই মানতে চাইছিল না পাকিস্তান সরকার (Pakistan)। এখন পাকিস্তান সেই সত্যিটা মেনে নিচ্ছে, যেটা এতদিন ধরে অস্বীকার করে আসছিল। ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে যে প্রত্যাঘাত হানা হয়েছিল, সেটা এখন নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) । তিনি স্বীকার করেছেন যে, ভারতের মিসাইল হামলায় নূর খান এয়ারবেসসহ (Nur Khan Air Base) বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ধ্বংস হয়ে গেছে। এই সেই পাকিস্তান, যারা কিছুদিন আগেও কোনো ক্ষয়ক্ষতির কথা মানেনি এবং নিজেদের জনগণের সামনে ভুয়া জয়ের গল্প বলছিল। শাহবাজ বলেন, রাতে তাঁর কাছে আসীম মুনীরের (Asim Munir) ফোন আসে এবং তারপর পুরো ঘটনা জানা যায়। 

শাহবাজ শরিফের এই ভিডিও অনেকেই শেয়ার করছেন। সেখানে তিনি বলেন, ৯ ও ১০ মে রাত আড়াইটার দিকে জেনারেল আসিম মুনীর তাঁকে ফোন করে জানান যে, ভারত ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুঁড়েছে। একটি নূর খান এয়ারবেসে আঘাত করে এবং কয়েকটি মিসাইল আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পড়ে। শাহবাজ শরিফ আরও বলেন, পাকিস্তানের বিমানবাহিনী দেশকে রক্ষা করতে নিজেদের তৈরি প্রযুক্তি এবং চিনের যুদ্ধবিমানে থাকা উন্নত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেছে। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন যে, পরে ভারতের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।

সবচেয়ে সংবেদনশীল এবং কৌশলগত এয়ারবেস
জানা যায়, নূর খান এয়ারবেসকে পাকিস্তানের সবচেয়ে সংবেদনশীল এবং স্ট্র্যাটেজিক এয়ারবেস হিসেবে ধরা হয়। এটি ইসলামাবাদের কাছেই অবস্থিত। এখান থেকেই পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য ভিআইপিদের ফ্লাইট পরিচালিত হয়। স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে, ভারতের মিসাইলগুলো অত্যন্ত নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে এবং কোনো ভুল হয়নি। ছবিতে একটি সাদা ‘গালফস্ট্রিম G450’-এর মতো দেখতে একটি ভিআইপি ফ্লাইটকে এয়ারবেসে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

এখানেই শেষ নয়, কিছু রিপোর্টে উল্লেখ আছে যে স্যাটেলাইট ছবিগুলো থেকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য স্পষ্ট হয়েছে—ভারতীয় বিমানবাহিনী রাওয়ালপিন্ডিতে অবস্থিত কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল ইউনিটকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে। এর ফলে পাকিস্তানের কৌশলগত (স্ট্র্যাটেজিক) সক্ষমতায় বড় ধাক্কা লাগে। ৭ থেকে ১১ মে-র মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছিল, যখন পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালানো হচ্ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.