‘ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ লেজেন্ডস’-এ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বাতিল হলেও তার রেশ এখনও কাটেনি। উল্টে তা বেড়ে চলেছে। ভারতের আপত্তিতে ম্যাচ হয়নি। তা হলে কেন পয়েন্ট দুই দলকে ভাগ করে দেওয়া হবে? এই প্রশ্ন তুলেছে পাকিস্তান। পয়েন্ট ভাগাভাগি অস্বীকার শাহিদ আফ্রিদিদের।
প্রতিযোগিতায় একটা ম্যাচ জিতলে সেই দল ২ পয়েন্ট পায়। যদি কোনও কারণে খেলা ভেস্তে যায় বা খেলা ড্র হয়, তা হলে দু’দলকে ১ পয়েন্ট করে দেওয়া হয়। ভারত-পাক ম্যাচ বাতিল হয়েছে। আয়োজকেরা চেয়েছিলেন, পয়েন্ট ভাগ করে দিতে। তাতে রাজি নয় পাকিস্তান। আয়োজকেরা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, “ইংল্যান্ড বোর্ডকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হবে না। ভারত চ্যাম্পিয়ন্স পয়েন্ট নিয়ে কোনও আপত্তি করেনি। কিন্তু পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স পয়েন্ট ভাগভাগিতে রাজি নয়। ওদের বক্তব্য, ভারতের আপত্তিতে ম্যাচ বাতিল হয়েছে। ওদের কোনও দায় নেই। তা হলে কেন ওরা পুরো পয়েন্ট পাবে না?”
এই পরিস্থিতিতে এখনও এই ম্যাচের পয়েন্ট কাকে দেওয়া হবে তা ঠিক করতে পারেননি আয়োজকেরা। দু’দলের সঙ্গেই আলোচনা করছেন তাঁরা। কিন্তু সমাধান কিছু হয়নি। যদিও পাকিস্তান দলের মালিক কামিল খানের দাবি, তাঁদেরই ২ পয়েন্ট দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “এই ম্যাচের জন্য আমাদের ২ পয়েন্ট দেওয়া হবে। আমরা তো ম্যাচ খেলব না বলিনি। নিয়ম অনুযায়ী আমরাই সেই পয়েন্টের যোগ্য।”
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বাতিল হওয়ার পর পাকিস্তান বাকি প্রতিযোগিতায় খেলবে কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। তবে কামিল জানিয়েছেন, পাকিস্তান সূচি মেনে খেলবে। তিনি বলেন, “বাকি সব ম্যাচ সূচি মেনেই হবে। তাতে কোনও বদল হচ্ছে না।”
তবে নক আউট বা ফাইনালে যদি ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হয় তখন কী হবে। কামিলের কথায়, “সেমিফাইনালে তো চারটে দল থাকবে। যদি দুই দল সেমিফাইনালে ওঠে তা হলে আমরা ভারতের বিরুদ্ধে খেলব না। ভারতও খেলতে চাইবে না। বাকি দুই দল তো আছে। সমস্যা হবে না। আর যদি আমরা ফাইনালে উঠি তা হলে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে সমর্থকদের সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। তার পরেই হরভজন সিংহ, সুরেশ রায়না, শিখর ধাওয়ান, ইরফান ও ইউসুফ পাঠান জানিয়ে দেন যে তাঁরা খেলবেন না। ক্রিকেটারদের এই সিদ্ধান্তের পর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বাতিল করে দেন আয়োজকেরা। ভারতীয় সমর্থকদের কাছে তাঁরা ক্ষমাও চান। যদিও এই ঘটনার সব দায় ধাওয়ানের উপর চাপিয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদি। তাঁর মতে, ধাওয়ানের চাপেই ম্যাচ থেকে নাম সরিয়েছেন বাকি ক্রিকেটারেরা। সেই কারণেই খেলা হয়নি। এই ঘটনার রেশ এখনও চলছে। থামতেই চাইছে না।