পয়েন্ট তালিকায় সকলের নীচে ভারত, তবু এখনও এশিয়ান কাপে খেলার সুযোগ রয়েছে সুনীলদের, কোন অঙ্কে

এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে প্রথম জয়ের খোঁজে ভারতীয় দল। মঙ্গলবার ফিফা ক্রমতালিকায় ২৭ ধাপ নীচে থাকা হংকংয়ের কাছেও হেরেছে তারা। গ্রুপ সি-তে পয়েন্ট তালিকায় সকলের নীচে রয়েছে ভারতীয় দল। কিন্তু লড়াই থেকে ছিটকে যায়নি ভারত। এখনও এশিয়ান কাপে খেলার সুযোগ রয়েছে ভারতীয় দলের। তবে তার জন্য সুনীল ছেত্রীদের সামনে রয়েছে কঠিন অঙ্ক।

গ্রুপ সি-তে শীর্ষে সিঙ্গাপুর। তার পরে হংকং। দু’দলই দুটো করে ম্যাচ খেলে একটা জিতেছে ও একটা ড্র করেছে। ৪ পয়েন্ট তাদের। কিন্তু বেশি গোল করায় উপরে সিঙ্গাপুর। তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। চার নম্বরে ভারত। দুই দল দুটো করে ম্যাচ খেলে একটা ড্র করেছে ও একটা হেরেছে। ফলে তাদের পয়েন্ট ১। ভারত দুটো ম্যাচে একটাও গোল করতে পারেনি। বাংলাদেশ একটা গোল করেছে। তাই তারা ভারতের উপরে।

যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকে প্রতি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল এশিয়ান কাপের মূলপর্বে ওঠে। গ্রুপে প্রতিটা দল অপর তিনটে দলের বিরুদ্ধে দুটো করে ম্যাচ খেলে। একটা হোম ও একটা অ্যাওয়ে। অর্থাৎ, ভারতের হাতে এখনও চারটে ম্যাচ আছে। সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে দুটো ম্যাচই বাকি। হংকংয়ের বিরুদ্ধে হোম ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে হবে সুনীলদের। চারটে ম্যাচই জিততে হবে ভারতকে। সে ক্ষেত্রে ১৩ পয়েন্ট হবে সুনীলদের। ভারত যদি চারটে ম্যাচ জেতে তা হলে একমাত্র হংকং ১৩ পয়েন্টে পৌঁছাতে পারবে। সে ক্ষেত্রে গোলপার্থক্যের বিচারে ঠিক হবে কোন দল এশিয়ান কাপের মূলপর্বে যাবে। তবে ভারত যদি আর একটা ম্যাচেও পয়েন্ট নষ্ট করে তা হলে পর পর তিন বার এশিয়ান কাপ খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে যেতে পারে মানোলো মার্কেজ়ের দলের। মানোলো ভারতের কোচ হওয়ার পর থেকে খুব খারাপ খেলছে দল। তাঁর অধীনে আটটা ম্যাচ খেলে মাত্র একটা জিতেছে ভারত। তা-ও সেটা প্রীতি ম্যাচ। এশিয়ান কাপে খেলতে না পারলে চাপ আরও বাড়বে কোচের উপর।

এশিয়ান কাপে ভারতের সেরা সাফল্য এসেছিল ১৯৬৪ সালে। সে বার রানার্স হয়েছিল তারা। এর আগে কোনও দিন পর পর তিন বার এশিয়ান কাপে খেলতে পারেনি ভারত। সেই সুযোগ এ বার আছে। এর আগে ২০১৯ ও ২০২৪ সালের প্রতিযোগিতায় খেলেছিলেন সুনীলেরা। পরের বার খেলার একটা সুযোগ নষ্ট করেছে ভারত। ২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে দ্বিতীয় রাউন্ডে গ্রুপের তৃতীয় স্থানে শেষ করে তারা। দ্বিতীয় স্থানে শেষ করতে পারলে সরাসরি এশিয়ান কাপ খেলতে পারত ভারত। এখন দেখার, ২০২৭ সালের এশিয়ান কাপে সুনীলেরা যোগ্যতা অর্জন করতে পারে কি না।

ভারতের বাকি চার ম্যাচ—

বনাম সিঙ্গাপুর (অ্যাওয়ে)- ৯ অক্টোবর, ২০২৫

বনাম সিঙ্গাপুর (হোম)- ১৪ নভেম্বর, ২০২৫

বনাম বাংলাদেশ (অ্যাওয়ে)- ১৮ নভেম্বর, ২০২৫

বনাম হংকং (অ্যাওয়ে)- ৩১ মার্চ, ২০২৬

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.