এশিয়ান গেমসের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ভারতীয় ক্রিকেট দল। নেপালকে ২৩ রানে হারিয়ে দিল তারা। প্রথমে ব্যাট করে ২০২ রান করে ভারত। নেপাল করে ১৭৯ রান। তাদের ১০ উইকেট ফেলতে পারেনি ভারত।
সামনেই বিশ্বকাপ থাকায় এশিয়ান গেমসে এখানে দ্বিতীয় সারির দল পাঠিয়েছে ভারত। সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২০২ রান তুললেন যশস্বী জয়সওয়ালেরা। শতরান করলেন তিনি। রিঙ্কু সিংহের দাপটও দেখা গেল এই ম্যাচে। এশিয়ান গেমসে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। মঙ্গলবার তিনি টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। নিজে ওপেন করতে নামেন রুতুরাজ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন যশস্বী। ১০০ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। এর মধ্যে মাত্র ২৫ রান করেন রুতুরাজ। এর পরেই ছন্দ কেটে যায় ভারতের। মাত্র ১৬ রানের ব্যবধানে অধিনায়ক রুতুরাজ-সহ তিন উইকেট হারায় তারা। তিলক বর্মা মাত্র ২ রান করেন। জিতেশ শর্মা করেন ৫ রান। তাঁরা আউট হলেও বড় রান তোলার কাজটা চালিয়ে যান যশস্বী।
৪৯ বলে ১০০ রান করে আউট হন যশস্বী। আটটি চার এবং সাতটি ছক্কা মারেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি তাঁর দ্বিতীয় শতরান। প্রথম শতরান করেছিলেন টেস্টে। ভারতের রঙিন জার্সিতে এটাই তাঁর প্রথম শতরান।
যশস্বী আউট হওয়ার পরে মাঠে নামেন রিঙ্কু। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে নজর কাড়া ব্যাটার নেপালের বিরুদ্ধে ১৫ বলে ৩৭ রান করেন। চারটি ছক্কা মারেন রিঙ্কু। দু’টি চার মারেন তিনি। শেষ বেলায় দ্রুত রান তুলে দলকে ২০০-র গণ্ডি পার করান রিঙ্কু।
ব্যাট হাতে ভারতীয় বোলারদের চাপে ফেলে দেন নেপালের ব্যাটারেরা। জেতার মতো জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁরা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারত এবং নেপালের তুলনা করা মুশকিল। ক্রিকেটীয় দক্ষতায় ভারতের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে থাকা দল কিন্তু শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেল। দীপেন্দ্র সিংহ আইরি, কুশল মাল্লা, সন্দীপ জোরার মতো ব্যাটারেরা ভারতীয় বোলারদের বিরুদ্ধে একের পর এক বাউন্ডারি মারতে শুরু করেন। তবে তাঁদের আউট করার পর লোয়ার অর্ডারের ব্যাটারেরা দলকে ভরসা দিতে পারলেন না। নেপালের লড়াই যদিও মন জয় করে নিয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের।