মাওবাদী গেরিলাদের হামলা রুখতে গিয়ে ধ্বংস হল ফিলিপিন্স বায়ুসেনার একটি এফএ-৫০ যুদ্ধবিমান। নিখোঁজ পাইলট এবং তাঁর সহকারী। আশঙ্কা করা হচ্ছে, চিনের মদতপুষ্ট গেরিলাদের ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রেই যুদ্ধবিমানটি ভূপতিত হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ওই দেশে কয়েক দশক ধরে সরকারি সেনার সঙ্গে কমিউনিস্ট গেরিলাদের লড়াই চলছে। ফিলিপিন্স কমিউনিস্ট পার্টির সশস্ত্র শাখা ‘নিউ পিপলস আর্মি’ (এনপিএ) গত কয়েক মাস ধরেই দক্ষিণ মিন্দানাও দ্বীপে সক্রিয়তা বাড়িয়েছিল। তাদের রুখতে সম্প্রতি স্থল এবং আকাশপথে প্রত্যাঘাত শুরু করে ফিলিপিন্স সেনা। সেই অভিযান চলাকালীনই ধ্বংস হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায় নির্মিত ওই যুদ্ধবিমাটি।
ফিলিপিন্স বায়ুসেনার মুখপাত্র কর্নেল কনসুয়েলো ক্যাস্তিলো জানিয়েছেন, মিন্দানাওয়ের বুকিদনন প্রদেশে মাওবাদী গেরিলাদের সঙ্গে যুদ্ধরত ৪০৩ পদাতিক ব্রিগেডের সেনাদের সহায়তায় রাত্রিকালীন অভিযানে গিয়েছিল এফএ-৫০ ফাইটার জেটটি। তিনি বলেন, ‘‘আঘাত হানার জন্য পূর্বনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুর দিকে যাওয়ার পথে যুদ্ধবিমানটি নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে।’’ বিদ্রোহী দমন অভিযানে অংশ নেওয়া এফএ-৫০ স্কোয়াড্রনের অন্য বিমানগুলি নিরাপদেই মাকতান-বেনিটো এবুয়েন বিমানঘাঁটিতে ফিরে এসেছে বলে জানান তিনি।
মিন্দানাওয়ে মাওবাদী দমন অভিযানের দায়িত্বে থাকা চতুর্থ পদাতিক ডিভিশনের লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফ্রান্সিসকো গারেলো জানিয়েছেন, স্থলপথে অভিযান চলাকালীন সাহায্য চেয়ে তাঁদের তরফে বায়ুসেনাকে বার্তা পাঠানো হয়েছিল। গত কয়েক বছর সেনার ধারাবাহিক অভিযানে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন এনপিএ গেরিলারা। কিন্তু সম্প্রতি নতুন করে হামলা শুরু করেছেন তাঁরা। সত্তরের দশকের শেষপর্ব পর্যন্ত এনপিএ-কে সক্রিয় মদত জুগিয়েছিল চিনের কমিউনিস্ট পার্টি। কিন্তু পরবর্তীকালে বেজিংয়ের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে তাদের। ঘটনাচক্রে, গত কয়েক বছর ধরে দক্ষিণ-চিন সাগরে চিনা আধিপত্যের বিরুদ্ধে ফিলিপিন্স সরব হওয়ার পরে ফের বাড়তে শুরু করেছে মাওবাদী গেরিলাদের তাণ্ডব।