উত্তপ্ত মেলবোর্ন, ১৯ বছরের কনস্টাসকে ইচ্ছাকৃত ধাক্কা মারার অভিযোগ ৩৬-এর কোহলির বিরুদ্ধে

চলতি ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়‌ে বেশ কিছু উত্তেজক মুহূর্ত দেখা গিয়েছে। তা বজায় থাকল মেলবোর্ন টেস্টেও। প্রথম দিন, প্রথম ঘণ্টাতেই উত্তাপ ছড়াল দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে। এই টেস্টে অভিষেক হওয়া স্যাম কনস্টাসকে ইচ্ছা করে ধাক্কা মারার অভিযোগ উঠল বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে।

ঘটনাটি ঘটেছে ১০ ওভারের পর। মহম্মদ সিরাজ সেই ওভার শেষ করার পর দিক পরিবর্তন করার জন্য হেঁটে আসছিলেন কোহলি। উল্টো দিক থেকে আসছিলেন কনস্টাসও। দু’জনের কাঁধে ধাক্কাধাক্কি হয়। কনস্টাসের বিষয়টি পছন্দ হয়নি। তিনি কোহলিকে কিছু একটা বলেন। পাল্টা কোহলিও রক্তচক্ষু দেখিয়ে কনস্টাসকে উত্তর দেন।

বিষয়টি বেশি দূর গড়ায়নি। সতীর্থ ওপেনার উসমান খোয়াজা এসে কনস্টাসকে সরিয়ে নিয়ে যান। পাশাপাশি কোহলিকেও অনুরোধ করেন ঘটনাটি সেখানে শেষ করে দেওয়ার জন্য। ঝামেলা থামাতে এগিয়ে আসেন আম্পায়ারেরাও।

বার বার সেই ঘটনার রিপ্লে দেখাতে থাকে সম্প্রচারকারীরা। সেখানে অবশ্য দেখা গিয়েছে, কনস্টাস মাথা নিচু করে ব্যাট হাতে যাচ্ছিলেন। কোহলিই যাওয়ার পরে দিক পরিবর্তন করে কনস্টাসের কাছে গিয়ে তাঁকে গিয়ে ধাক্কা মারেন। ধারাভাষ্যকার মাইকেল ভন বলছিলেন, কনস্টাসকে উত্তেজিত করার জন্যই এ কাজ করেছেন কোহলি। তবে এই কাজের তীব্র নিন্দা করেছেন। বলেছেন, “কোহলির মতো সিনিয়র ক্রিকেটারের এমন কাজ শোভা পায় না।”

খুশি হতে পারেননি সুনীল গাওস্করও। বলেছেন, “দু’জনকেই শাস্তি দেওয়া উচিত।” রিকি পন্টিং বলেন, “কোহলির হাঁটাটা এক বার খেয়াল করুন। সোজা হাঁটতে হাঁটতে ডান দিকে এসে জোর করে ওকে ধাক্কা মারল।”

মেলবোর্ন এ দিন ৬০ রান করে আউট হন কনস্টাস। তবে তিনি যে অভিষেক টেস্ট খেলতে নেমেছেন তা বোঝাই যায়নি। শুরু থেকেই ভারতীয় বোলারদের উপরে আগ্রাসন দেখাতে শুরু করেন। এমনকি যশপ্রীত বুমরাকে ‘স্কুপ’ শট মারার চেষ্টাও করেন। প্রথমে সফল হননি। সপ্তম ওভারে সফল হন। একই ওভারে বুমরাকে তিন বার ‘স্কুপ’ মেরে ১৪ রান নেন।

মুগ্ধ গাওস্কর বলছিলেন, “বুমরার সঙ্গে এই আচরণ করতে আগে কোনও ব্যাটারকে দেখিনি। বুমরাকে আলাদা লাইনে বল করতে বাধ্য করল কনস্টাস। বুমরাকে দেখেই মনে হচ্ছে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.