সমাজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্পষ্ট কথা বলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। আবার নিজের বিষয়েও একই রকম স্পষ্টবক্তা তিনি। চেহারার গড়ন, পোশাক আশাক অথবার মাথার চুলের ভিতর থেকে রুপোলি ঝিলিক, নিজের কোনও কিছু নিয়েই ভণিতা নেই তাঁর। সম্প্রতি ইনদওরে গিয়েছেন তিনি। সেখান থেকে উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দিরে যাওয়ার কথা স্বস্তিকার। কিন্তু গিয়েছেন শুটিং করতে। তাই কী পরে যাবেন, তা নিয়ে চিন্তায় পরেছিলেন অভিনেত্রী।
পরনে ঘন নীল রঙের শাড়ি। কপালেও নীল রঙের টিপ, নাকছাবি, কানে দুল আর চোখে কাজল। এই বেশে স্বস্তিকা নিজের বেশ কিছু ছবি ভাগ করে নেন সমাজমাধ্যমে। কিন্তু এই শাড়ির ব্যবস্থা হয়েছে শেষ মুহূর্তে। স্বস্তিকা তাঁর পোস্টে জানান, সারা রাত ধরে শুটিংয়ের পরে সকাল সাড়ে সাতটায় ছুটি হয়েছে। তিনি লেখেন, “ইনদওরে এসেছি একটি মরাঠি ছবির কাজে। এখন উজ্জয়িনী যাব, মহাকাল মন্দিরে, জ্যোতির্লিঙ্গ দর্শন করতে আর মায়ের জন্য পুজো দিতে। এই মন্দিরের কথা আগে শুনেছিলাম কিন্তু মনে ছিল না। গাড়ির চালক দাদাকে জিজ্ঞেস করাতে বললেন। উজ্জয়িনীতেই মহাকাল মন্দির। আর ইনদওর থেকে দুই-আড়াই ঘণ্টা দূরে ওমকারেশ্বর। ঘুম হল না এক ফোঁটা ঠিকই। কিন্তু এই সুযোগ কি ছাড়া যায়, বলুন

এর পরেই আসল সমস্যা নিয়ে স্বস্তিকা লেখেন, “অল্প দিনের জন্য এসেছি। তাই ওই টি-শার্ট, স্কার্ট, প্যান্ট ওই সবই নিয়ে এসেছি।” মুশকিল আসান হিসেবে এক শাড়ি বিপণি স্বস্তিকাকে নীল রঙের শাড়িটি পাঠিয়েছিল। শেষ মুহূর্তে সেই শাড়িটি সুটকেসে রেখে দিয়েছিলেন স্বস্তিকা। তাই অভিনেত্রী লিখেছেন, “ভাগ্যিস সুটকেসে পুরেছিলাম, কে জানত মন্দিরে পরে যেতে লাগবে। না হলে ভাবুন, ওই টি-শার্ট জিন্স পরে গেলে, মা উপর থেকে এসে দু’ ঘা দিত।” সতীপীঠের তিনটি স্থান দর্শন করে ফেলায় উচ্ছ্বাসও প্রকাশ করেন স্বস্তিকা। এই দিকে নাকি তিনি তাঁর বোনের চেয়ে এগিয়ে।
পোস্টের শেষে অভিনেত্রী লেখেন, “ মাথায় অনেক পাকা চুল হয়েছে জানি। এই নিয়ে মন্তব্য করে নিজের সময় নষ্ট করবেন না। আপাতত চুলে রং মাখব না। ওঁ নমঃ শিবায়। হর হর মহাদেব।”