কোনো সিভিক ভলান্টিয়ার ভাইয়ের যদি ক্ষতি হয় সেই জেলার এসপি’কে কোর্টে টেনে নিয়ে গিয়ে আবার তাদের চাকরি ফিরিয়ে দেব: সুকান্ত মজুমদার

 “উত্তর দিনাজপুর সহ গোটা পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত মহিলাদের কোথাও বিজেপি করার জন্য কিংবা বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য কোন মহিলার যদি লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে নাম কাটা যায়, বা টাকা পাওয়া বন্ধ হয়, আপনারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন। আদালত যেমন থাপ্পড় মেরে মেরে সেন্ট্রাল বাহিনী দিল। সেই হাইকোর্ট থেকেই আবার থাপ্পড় মেরে আমরা রাজ্য সরকারকে দিয়ে ৫০০ টাকা, ১০০০ টাকা লক্ষ্মীর ভান্ডারের ব্যবস্থা করব। অনুরূপ, কোনো সিভিক ভলান্টিয়ার ভাইয়ের যদি ক্ষতি হয়, আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে বলবেন। সেই জেলার এসপি’কে কোর্টে টেনে নিয়ে গিয়ে চাকরি আবার ফিরিয়ে দেব।” উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির বিধায়ক গৌতম পালের ভোট না দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ ও গোয়ালপোখরের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা মন্ত্রী গোলাম রব্বানীর ভাই গোলাম রসুলের সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভোটের পরে দেখে নেওয়ার হুমকি প্রসঙ্গে এমনটাই বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহারের নন্দনগ্রামে দলীয় প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে দলীয় প্রার্থী এবং কর্মী সমর্থকদের নিয়ে একটি রোড শো’য়ে অংশগ্রহণ করেন তিনি। এই রোড শোয়ে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। প্রচার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হন।

কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ” রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশন দুটোকে আলাদাভাবে দেখছি না। একই অঙ্গে দুই রূপ। হাইকোর্টে থাপ্পরের পর থাপ্পড় খেতে খেতে গাল লাল হয়ে গেছে। গালে আর জায়গা নাই। আর কোথায় কোথায় যে মারবে। আরো কয়েকটা থাপ্পড় বাকি আছে।”

পাশাপাশি জেলায় বহিরাগত দুষ্কৃতীদের প্রবেশ প্রসঙ্গে সুকান্ত বাবু বলেন, “বিহার থেকে দুষ্কৃতীরা এর আগেও ভোটের সময় ঢুকেছে। উত্তর দিনাজপুরের প্রশাসনের অভিজ্ঞতা তো আছে। তাদের উচিত খুব ভালো করে সেখানে প্রটেকশনের ব্যবস্থা করা, যাতে বহিরাগতাই রাজ্যে ঢুকতে না পারে।” তিনি আরও বলেন, ” মুখ্যমন্ত্রী তো প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢুকলে বহিরাগত-বহিরাগত বলে চিৎকার করেন। আর যখন বিহার থেকে ভাড়া করা গুন্ডারা ঢুকে উত্তর দিনাজপুরে মারামারি করে তখন তাদের বহিরাগত মনে হয় না মুখ্যমন্ত্রীর।”

পাঞ্জিপাড়ায় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এ ধরনের ঘটনা প্রমাণ করছে গোটা রাজ্য বোম, বন্দুক, কার্তুজের ফ্যাক্টরিতে পরিণত হয়েছে। পুলিশ ধরেছে যা দেখতে পাচ্ছেন তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। এর থেকে অনেক বেশি তৃণমূলের নেতাদের কাছে আছে। এবং তারা আগামী নির্বাচনে ব্যবহারও করবে, তা আমরা জানি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.