‘তোমার সঙ্গে কথা বলব না, তুমি আমার বাবাকে মেরেছ’, ১৭ বছর পর হরভজনকে জবাব শ্রীসন্থের মেয়ের

আইপিএলের প্রথম বছর শান্তাকুমারণ শ্রীসন্থকে চড় মেরেছিলেন হরভজন সিংহ। ২০০৮ সালের সেই ঘটনা হইচই ফেলে দিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট মহলে। ১৭ বছর পর সেই ঘটনার জবাব পেলেন হরভজন। তাঁকে জবাব দিয়েছে শ্রীসন্থের মেয়ে শ্রীসানভিকা।

নিজের কৃতকর্মের জন্য বহুবার ক্ষমা চেয়েছেন প্রাক্তন অফস্পিনার। তাও তাঁকে ক্ষমা করেনি শ্রীসন্থের মেয়ে। হরভজনকে দেখে শ্রীসানভিকা বলেছে, ‘‘তোমার সঙ্গে কোনও কথা বলতে চাই না। তুমি আমার বাবাকে মেরেছ।’’ প্রাক্তন সতীর্থের মেয়ের এই কথা হরভজনকে আঘাত দিয়েছে।

রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ইউটিউব চ্যানেলের অনুষ্ঠান ‘কুট্টি স্টোরিজ’এ যোগ দিয়েছিলেন হরভজন। অশ্বিন তাঁর কাছে জানতে চান, জীবনের কোন ঘটনা মুছে ফেলতে চান। উত্তরে হরভজন বলেছেন, ‘‘পারলে একটা জিনিস জীবন থেকে মুছে ফেলতে চাইব। সেটা হল, শ্রীসন্থের সঙ্গে ঘটা সেই ঘটনা। আমার জীবন থেকে ওই ঘটনাটা মুছে ফেলতে চাই। যেটা হয়েছিল, ভুল হয়েছিল। অন্তত ২০০ বার ক্ষমা চেয়েছি। তবু এখনও ঘটনাটার কথা মনে পড়লে খারাপ লাগে। সুযোগ পেলে এখনও ক্ষমা চেয়ে নিই আমি।’’

এই প্রসঙ্গেই উঠে এসেছে শ্রীসন্থের মেয়ের প্রসঙ্গ। হরভজন বলেছেন, ‘‘ওই ঘটনার অনেক দিন পর শ্রীসন্থ এবং ওর পরিবারের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। তখন শ্রীসন্থের মেয়ে আমাকে বলে, ‘তোমার সঙ্গে কথা বলতে চাই না। তুমি আমার বাবাকে মেরেছ।’ ওইটুকু বাচ্চার মুখে কথাটা শুনে খুব খারাপ লেগেছিল। কেঁদেই ফেলেছিলাম প্রায়। নিজেকে প্রশ্ন করেছিলাম, একটা ছোট্ট মেয়ের মনে কী ছাপ ফেললাম। এখন ওর মেয়ের কাছেই আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’’ উল্লেখ্য, শ্রীসানভিকার বয়স এখন ১০।

২০০৮ সালে আইপিএলের সময় শ্রীসন্থকে চড় মারার ঘটনায় অনুতপ্ত হরভজন। এখনও অক্ষেপ করেন তিনি। হরভজন বলেছেন, ‘‘ভুল করেছিলাম। সকলের ভুল হয়। চেষ্টা করি একই ভুল যাতে দ্বিতীয় বার না হয়। শ্রীসন্থ আমার সতীর্থ ছিল। আমরা এক সঙ্গে খেলছিলাম। আইপিএলে ও আমার প্রতিপক্ষ দলে ছিল। ঘটনাটা ওই পর্যায়ে যাওয়া একদমই উচিত হয়নি। আমিই ভুল করেছিলাম। আমারই দোষ। আবার বলছি, ঠিক করিনি। আবার দুঃখপ্রকাশ করছি।’’

বেশ কিছু দিন ভারতীয় দলে একসঙ্গে খেলেছেন হরভজন এবং শ্রীসন্থ। ২০১১ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলেও ছিলেন তাঁরা। ২০০৮ সালের আইপিএলে হরভজন ছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে আর শ্রীসন্থ ছিলেন কিংস ইলেভেন পঞ্জাবে (এখনকার পঞ্জাব কিংস)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.