‘আরও বেশি গোলে জিততে পারতাম’, চেন্নাইয়িনকে হারিয়ে দাবি লাল-হলুদ কোচের

ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে ইস্টবেঙ্গল। আইএসএলে পর পর দু’টি ম্যাচ জিতেছে তারা। শনিবার চেন্নাইয়িন এফসিকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচ জেতার পর প্রতিপক্ষকে হারানোর পরিকল্পনা ফাঁস করেছেন অস্কার ব্রুজ়ো। তাঁর দাবি, আরও বেশি গোলে জিততে পারত ইস্টবেঙ্গল।

ব্রুজ়ো জানিয়েছেন, দ্বিতীয়ার্ধে প্রচুর গোলের সুযোগ তৈরি করেছে ইস্টবেঙ্গল। সেই কারণেই ম্যাচ জিততে পেরেছেন তাঁরা। তবে আরও বেশি গোল করতে পারত ইস্টবেঙ্গল। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় ২-০ ব্যবধানটা কমই হয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা প্রচুর গোলের সুযোগ তৈরি করেছি। বল ছিনিয়ে নেওয়া, দ্রুত আক্রমণে ওঠা, উপযুক্ত জায়গা তৈরি করা এবং সুযোগ তৈরি করার দিক থেকে আমরা ওদের চেয়ে এগিয়েই ছিলাম। সেই জন্যই ম্যাচটা জিততে পেরেছি।”

চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে কী পরিকল্পনা করে তাঁরা নেমেছিলেন তা ফাঁস করেছেন ব্রুজ়ো। প্রতিপক্ষকে হতাশ করার চেষ্টা শুরু থেকে করছিলেন তাঁরা। তাতেই সফল হয়েছেন লাল-হলুদ ফুটবলারেরা। ব্রুজ়ো বলেন, “শুরুর দিকে বল ধরে খেলার দিকে আমরা বেশি নজর দিই। সঙ্ঘবদ্ধ থাকার চেষ্টা করি। আমরা জানতাম ওদের রক্ষণ কী রকম। ৯০ মিনিট ধরে ওদের সঙ্গে এই লড়াই করে যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। সে জন্যই অন্য কৌশল অবলম্বন করতে হয় আমাদের। আমাদের মনে হয়েছিল, আগে গোল করলে জেতার সম্ভাবনা বেশি। তাই সেই পরিকল্পনা নিয়েই এই ম্যাচ খেলতে নেমেছিলাম আমরা।”

প্রথমার্ধের শুরুর দিকে বেশি ভাল দেখাচ্ছিল চেন্নাইয়িনকে। কিন্তু ধীরে ধীরে খেলার দখল নিতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। ব্রুজ়ো মনে করেন, প্রথমার্ধের জলপানের বিরতির পর থেকেই খেলা ঘুরতে শুরু করে। তিনি বলেন, “প্রথমার্ধের জলপানেপ বিরতির পর থেকে ১০-১৫ মিনিট আমরা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা শুরু করি। ঘন ঘন গোলের সুযোগ তৈরি হয়। দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের দলের ছেলেরা কৌশল অনুযায়ী নিখুঁত এবং অসাধারণ খেলেছে। আমরা সঙ্ঘবদ্ধ থেকেছি। মাঝমাঠ নিয়ন্ত্রণ করেছি। ফলে ওরা হতাশ হয়ে ওঠে।”

জয়ের আনন্দের মধ্যেই অবশ্য চোটের ধাক্কা রয়েছে ইস্টবেঙ্গল শিবিরে। চোট পেয়েছেন সাউল ক্রেসপো। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়ায় স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। তার পর বেঞ্চ থেকেই রেফারির সঙ্গে তর্ক করায় চতুর্থ হলুদ কার্ড দেখেন তিনি। ফলে পরের ম্যাচে খেলতে পারবেন না ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠের ভরসার ফুটবলার। ক্রেসপোর চোট নিয়ে উদ্বিগ্ন কোচ বলেন, “সোমবার পরীক্ষার পর জানা যাবে ওকে কত দিন পাওয়া যাবে না। মনে হয় অন্তত দু’সপ্তাহ ওকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে।” ১২ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার ওড়িশার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে খেলতে নামবে ইস্টবেঙ্গল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.