মাত্র ২২ বছর বয়সেই চরম সিদ্ধান্ত। হায়দরাবাদের গাছিবাউলিতে হস্টেলের ছয়তলা থেকে ঝাঁপ দেন ঋতজা বসু। পড়ে গিয়ে গুরুতর রক্তক্ষরণে আহত হন এবং ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, ঋতজা বসু পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে হায়দরাবাদের গাছিবাউলিতে এসেছিলেন। সেখানে তিনি একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে এইচআর পদে কর্মরত ছিলেন। এবং মহিলা হস্টেলে থাকতেন।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঋতজা প্রায়শই নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগে থাকতেন। হয়তো এই কারণেই তিনি এই চরম পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, বেশ কিছুদিন ধরে ঋতজা নিজের বন্ধু, সহকর্মীদের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করে দিয়েছেন। নিজেকে সম্পূর্ণভাবে আলাদা করে নিয়েছিলেন। সুইসাইড করার কিছুক্ষণ আগে তিনি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। তারপর তিনি এই চরম পদক্ষেপ নেন।
মাধপুর পুলিস জানিয়েছেন, গত সোমবার রাত ১০.৩০টার দিকে ঋতজা তাঁর হস্টেলের ছ’তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিস সেখানে পৌঁছায়। মৃতদেহকে অসমানিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয় পোস্টমর্টেমের জন্য। ইতোমধ্যেই ঘটনার মামলা দায়ের করা হয়। ঠিক কী কারণে ঋতজা এই চরম পদক্ষেপ নেন, তার তদন্ত চলছে।
পুলিস সূত্রে আরও জানা যায়, ঋতজা গত এক বছর ধরে সিদ্দিকনগরের একটি হস্টেলে হর্ষ বলে একটি ছেলের সঙ্গে থাকতেন।