স্বামীর বয়স ৬২, স্ত্রী ৪৬, আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান ধারণের বিশেষ অনুমতি দিল হাই কোর্ট

আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান নিতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক দম্পতি। ওই দম্পতিকে আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান নেওয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি অমৃতা সিংহ জানান, ওই দম্পতির সন্তান নিতে সমস্যা নেই। তাঁর নির্দেশ, সংশ্লিষ্ট ক্লিনিকের কর্তৃপক্ষকে অ্যাসিস্টেড রিপ্রোডাক্টিভ টেকনোলজির সুবিধা দিতে হবে মামলাকারীকে।

আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান নিতে চেয়ে হাই কোর্টে মামলা করেন এন্টালির এক দম্পতি। তাঁদের বক্তব্য, ২৬ বছর আগে দু’জনের বিয়ে হয়েছিল। কোনও সন্তান নেই। এখন আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান নিতে চান তাঁরা। গত বছরের ডিসেম্বরে একটি ফার্টিলিটি ক্লিনিকে অ্যাসিস্টেড রিপ্রোডাক্টিভ টেকনোলজির সুবিধা নেওয়ার জন্য আবেদন জানান ওই দম্পতি। ক্লিনিকের তরফে জানানো হয়, স্বামীর বয়স ৬০ পেরিয়ে গিয়েছে। তাই আদালতের অনুমতি ছাড়া ওই পদ্ধতি কার্যকর করা সম্ভব নয়। অথবা স্বাস্থ্য ভবন থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে আসতে হবে। এর পরে তাঁরা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন।

আবেদনকারী মহিলার বয়স ৪৬ বছর। আর স্বামীর বয়স ৬২ বছর। কেন্দ্রের আইনে বলা হয়েছে, মা সন্তানের জন্ম দিলেও পালনের ক্ষেত্রে বাবার ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণে ওই সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী, আইভিএফ পদ্ধতিতে পুরুষ এবং মহিলার বয়ঃসীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, পুরুষের বয়স হতে হবে ২১ থেকে ৫৫ বছর। এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়স ৫০ বছর ধার্য করা হয়েছে। আবেদনকারী দম্পতির ক্ষেত্রে স্ত্রী যোগ্য হলেও, স্বামীর বয়স অনেকটাই বেশি।

এর আগে গত বছর একই ধরনের একটি মামলায় আইভিএফ পদ্ধতির অনুমতি দিয়েছিল হাই কোর্ট। সেখানে পুরুষের বয়স ছিল ৫৮ বছর। এ বার এন্টালির এই দম্পতিকেও অনুমতি দিল আদালত। হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, একটি বয়ঃসীমার পরে সন্তান মানুষ করার ক্ষেত্রে আর্থিক এবং মানসিক দৃঢ়তা প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.