বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি কোথায় কতটা? জেলাশাসকদের হিসাব দিতে বলল নবান্ন, কাজ শুরু পুজোর আগেই

দক্ষিণবঙ্গের বন্যা কবলিত এলাকাগুলিতে কোথায় কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে? জানতে চায় নবান্ন। ওই জেলাগুলির জেলাশাসকদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে বলা হয়েছে। সেই অনুযায়ী কোথায় কতটা সংস্কার প্রয়োজন, কতটা অর্থ বরাদ্দ করা প্রয়োজন, তা স্থির করা হবে। পুজোর আগেই সংস্কারের কাজ শুরু করে দিতে চায় রাজ্য সরকার।

নবান্ন সূত্রে খবর, ক্ষয়ক্ষতির হিসাব চেয়ে পাঠানো হয়েছে জেলাশাসকদের কাছ থেকে। বন্যার জন্য আগেই অর্থ বরাদ্দ করেছিল সরকার। সেই অর্থের বণ্টন কোথায় কেমন হবে, প্রয়োজন অনুযায়ী বিবেচনা করে তা ঠিক করা হবে। বন্যায় দক্ষিণবঙ্গের মোট আটটি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেই তালিকায় রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং বাঁকুড়া। এর মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি এবং হাওড়ায় বন্যার প্রভাব দীর্ঘমেয়াদী হয়েছিল। দীর্ঘ দিন পর্যন্ত এই জেলাগুলির বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন ছিল।

বন্যার কারণে সাত জেলায় প্রভুত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বন্যা পরিস্থিতির জন্য তিনি দায়ী করেছিলেন ডিভিসিকে। অভিযোগ, রাজ্যের সঙ্গে পরামর্শ না করেই ডিভিসি কয়েক লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে। ঝাড়খণ্ডকে বন্যার হাত থেকে বাঁচাতে বাংলাকে বঞ্চনা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। ডিভিসি যদিও সে সব দাবি উড়িয়ে দিয়েছিল। পরে এর প্রতিবাদে দামোদর ভ্যালি জলাধার নিয়ন্ত্রণ কমিটি থেকে রাজ্যের প্রতিনিধি তুলে নেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

বন্যা কবলিত এলাকাগুলিতে সংস্কারের কাজ পুজোর আগেই শুরু করতে চায় নবান্ন। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের বেশ কয়েকটি দফতরে কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তারা জেলাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বন্যার ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করবে এবং মেরামতের বন্দোবস্ত করবে। বরাদ্দ অর্থ বণ্টনও করা হবে ক্ষতির পরিমাণ বিবেচনা করেই। দ্রুত যাতে সংস্কারের কাজ শেষ করা যায়, তার ব্যবস্থা করছে সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.