রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের জন্য আগামী ২৬ জুন থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে বলে জানাল নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, এ রাজ্যের উপনির্বাচনে মোট ৫৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হবে। তার মধ্যে বুথে ব্যবহার করা হবে ৪৭ কোম্পানি। বাকি বাহিনী রাখা হবে স্ট্রংরুম পাহারা দেওয়ার জন্য।
অন্য দিকে, মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর উপনির্বাচন নিয়ে একটি বৈঠক করে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, লোকসভা ভোটের মতো বিধানসভা উপনির্বাচনেও সব বুথে ওয়েব কাস্টিং করা হবে।
নদিয়ার রানাঘাট দক্ষিণ, উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা, কলকাতার মানিকতলা এবং উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে আগামী ১০ জুলাই উপনির্বাচন হবে। ভোটগণনা হবে ১৩ জুলাই।
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে রায়গঞ্জ কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। এ বার লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে রায়গঞ্জ কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল রাজ্যের শাসকদল। ফলে বিধায়ক পদে ইস্তফা দিতে হয় কল্যাণীকে। তিনি ইস্তফা দেওয়ায় রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। একই ভাবে ২০২১ সালে রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে জয়ী হয়ে লোকসভা ভোটের ঠিক আগে তৃণমূলে যোগ দেন মুকুটমণি অধিকারী। তাঁকে এ বার রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। মুকুটমণিও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন।
গত বিধানসভা নির্বাচনে বাগদা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। তাঁকে এ বার বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করে জোড়াফুল শিবির। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। গত বিধানসভা নির্বাচনে কলকাতার মানিকতলা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা, অধুনা প্রয়াত সাধন পাণ্ডে। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সাধন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মারা যান। কিন্তু তার পর দীর্ঘ দিন মানিকতলা বিধায়কহীন থাকলেও সেখানে উপনির্বাচন হয়নি। কারণ, গত বিধানসভায় এই কেন্দ্রের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে কলকাতা হাই কোর্টে ‘ইলেকশন পিটিশন’ দাখিল করেছিলেন। আইনি জটিলতা কেটে যাওয়ায় এ বার মানিকতলায় উপনির্বাচন হতে চলেছে।