ঘরেই থাকতেন, ঢুকতে দিতেন না সাফাইকর্মীদেরও! কসোলের হোটেলে আর কী করতেন মুস্কানেরা?

উত্তরপ্রদেশের মেরঠে মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুতকে খুনের পর ১৫ দিনের জন্য হিমাচল প্রদেশে ভ্রমণে গিয়েছিলেন সৌরভের স্ত্রী মুস্কান রস্তোগী ও তাঁর প্রেমিক সাহিল শুক্ল। কসোলে তাঁরা একটি হোটেলে উঠেছিলেন। স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলের ঘরেই কাটিয়েছিলেন টানা ছয় দিন। ওই ক’দিন সাফাইয়ের জন্য হোটেলের কর্মীদেরও ঘরে ঢোকার অনুমতি দেননি তাঁরা। এমনটাই জানিয়েছেন হোটেল কর্তৃপক্ষ।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামীকে খুনের পর ওই দিনই প্রেমিক সাহিলের সঙ্গে হিমাচলের উদ্দেশে রওনা দেন মুস্কান। এ জন্য গত ৪ মার্চ অনলাইনে ৫৪ হাজার টাকা দিয়ে একটি সুইফ্‌ট ডিজ়ায়ার গাড়ি অগ্রিম ভাড়াও করেন তাঁরা। বুকিং সেরে ফেলেন হোটেলেরও। মার্চের ১০ তারিখ কসোলে পৌঁছোন ওই যুগল। সেখানে একটি হোটেলে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ঘর ভাড়া নেন। টানা ছ’দিন সেখানে থাকার পর ১৬ তারিখ ব্যাগপত্র নিয়ে বেরিয়ে যান। হোটেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছ’দিন বেশির ভাগ সময় ঘরেই ছিলেন দু’জন। অথচ এক বারও হোটেলকর্মীদের সাফাইয়ের জন্য ঘরে ঢোকার অনুমতি দেননি। দিনে এক বার মাত্র গাড়ি নিয়ে বেরোতেন তাঁরা, মদ্যপান করতেন, তার পর ফিরে আসতেন হোটেলে।

হোটেলের এক কর্মী আমন কুমারের কথায়, ‘‘বাকিরা কসোলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আসেন। অথচ ওঁদের কখনও ঘর থেকে বেরোতেই দেখিনি। ২০৩ নম্বর ঘরেই সারা দিন কাটিয়ে দিতেন দু’জনে। দিনে এক বার গাড়ি নিয়ে বেরোতেন। কারও সঙ্গে বিশেষ কথাও বলতেন না তাঁরা।’’ উল্লেখ্য, মুস্কানদের গাড়ির চালক জানিয়েছেন, হিমাচলে থাকাকালীন পুরো যাত্রায় একে অপরের সঙ্গেও বিশেষ কথা বলেননি মুস্কান ও সাহিল। তবে সাহিল রোজই মদ্যপান করতেন। হিমাচলে আসার পর প্রথমেই শামলি থেকে মদ কেনেন তাঁরা। মুস্কানকেও বার তিনেক বিয়ার খেতে দেখেছেন তিনি। যাত্রাপথে বিশেষ কথা না বললেও শিমলায় বেশ হইহুল্লোড়ের সঙ্গে হোলি উদ্‌যাপন করেন ওই যুগল।

গত ৪ মার্চ রাতে মুস্কান প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামী সৌরভকে খুন করেন। তার পর দু’জন মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সৌরভের দেহ ১৫ টুকরো করে একটি ড্রামে দেহাংশগুলি ভরে সিমেন্ট ঢেলে দেন। পরের দিনই মেয়েকে বাপের বাড়িতে রেখে প্রেমিকের সঙ্গে হিমাচলের উদ্দেশে রওনা দেন মুস্কান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.