এক সময় নিয়মিত খেললেও ইদানীং জাতীয় দলের ধারেকাছে নেই তিনি। কোনও ফরম্যাটেই আর সুযোগ পান না। তবে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে এসে ছ’উইকেট নিয়ে শার্দূল ঠাকুর নিজেই দাবি করলেন, তিনি ভারতীয় দলের নজরে রয়েছেন। ইংল্যান্ড সফরেই সুযোগ পেতে পারেন।
শেষ বার ইংল্যান্ড সফরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন শার্দূল। এ বার ঘরোয়া ক্রিকেটেও ফর্মে রয়েছেন। ব্যাট হাতে ৩৯৬ রান করার পাশাপাশি ৩০টি উইকেট নিয়েছেন।
সোমবার ম্যাচ শেষের পর প্রত্যয়ী শোনাল তাঁর গলা। শার্দূল বললেন, “দলে সুযোগ না পেলে হতাশ লাগবেই। না খেলে বাড়িতে বসে থাকলে আরও খারাপ লাগবে। তবে মাঠে নামলে আমার ফোকাস শুধু ম্যাচেই থাকে। সেটা ক্লাব ক্রিকেট, রঞ্জি ট্রফি, আইপিএল বা ভারতের হয়ে খেলা— যা-ই হোক না কেন। আমার কাছে সব ম্যাচ সমান। যে পর্যায়ের খেলাই হোক। আমি সব সময় নিজের সেরাটা দিতে ভালবাসি।”
জুন-জুলাইয়ে ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে পাঁচটি টেস্ট খেলবে ভারত। শার্দূল বলেছেন, “আমার মনে হয় সুযোগ পাওয়ার দৌড়ে রয়েছি। পরের ধাপ হল দলে জায়গা করে নেওয়া। সেটাই আসল লক্ষ্য। এখন আমি রঞ্জি খেলছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সবার উপরে। দেশের হয়ে খেলাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। সেই খিদে কোনও দিন যাবে না।”
আইপিএলে দল পাননি। তাতেও ভেঙে পড়ছেন না শার্দূল। সেই সময়টা কাউন্টি ক্রিকেটে খেলতে চান, যাতে ইংল্যান্ড সফরে ডাক এলে আগে থেকে মানিয়ে নিতে পারেন। শার্দূলের কথায়, “কাউন্টি দলের প্রস্তাব পেলে অবশ্যই খেলব। নতুন অভিজ্ঞতা হবে। এখন সে রকম কোও পরিকল্পনা নেই। তবে কাউন্টি ক্রিকেটে সেই সময় ৬-৭টা ম্যাচ রয়েছে। জাতীয় দলে সুযোগ পেলে আগেই তৈরি হয়ে নিতে পারব।”
ফর্মে ফেরা সূর্যকুমার যাদবেরও প্রশংসা করেছেন শার্দূল। বলেছেন, “ও বরাবরই আত্মবিশ্বাসী ছিল। ছোটবেলা থেকে সূর্যের সঙ্গে খেলেছি। ওর এক্স-ফ্যাক্টরের ব্যাপারে আমরা জানি। দারুণ ক্যাচ নেওয়া হোক বা দারুণ সব শট খেলা, ও মুহূর্তে পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে। গত কয়েকটা ম্যাচে রান পায়নি। এমন নয় ফর্মের বাইরে ছিল। কয়েক বলেই আউট হয়ে গেলে সেটার অর্থ অফ ফর্ম নয়।”