বিশ্বকাপের দলে হার্দিকের জায়গা এখন আরও নড়বড়ে, রোহিতের সুরে সুর কোচ দ্রাবিড়ের, কী বললেন?

অধিনায়কের সুরে সুর মেলালেন কোচ। আর তাতে চাপ আরও বাড়ল হার্দিক পাণ্ড্যের। ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে কি আরও নড়বড়ে হল তাঁর জায়গা? আফগানিস্তানকে চুনকাম করার পরে একটি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। অনেকটা তেমন কথা শোনা গেল কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের গলাতেও।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ফেলল ভারত। এর পর শুধুই আইপিএল। সেই প্রতিযোগিতার পরেই দল নির্বাচন করতে হবে। তবে আইপিএলের আগে যে তাঁর হাতে অনেক বিকল্প চলে এসেছে তা জানিয়েছেন দ্রাবিড়। ম্যাচ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘এক দিনের বিশ্বকাপের পরে দলে অনেক বদল হয়েছে। টি-টোয়েন্টিতে নতুন নতুন ক্রিকেটার খেলেছে। তাদের মধ্যে অনেকেই নজর কেড়েছে। এ টুকু বলতে পারি যে এখন আমার হাতে অনেক বিকল্প আছে। তাই আমি খুশি।’’

আইপিএলের দিকে তাঁর নজর থাকবে বলে জানিয়েছেন দ্রাবিড়। তার উপর নির্ভর করেই দল তৈরি করতে হবে তাঁকে। তবে তাঁর মাথায় কিছু ক্রিকেটার রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় কোচ। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের হাতে আর আন্তর্জাতিক ম্যাচ নেই। তাই আইপিএলের উপরেই নির্ভর করতে হবে। কিন্তু কিছু ক্রিকেটার আমার পরিকল্পনায় আছে। দেখি তারা আইপিএলে কেমন খেলে।’’

আলাদা করে একমাত্র শিবম দুবের নাম করেছেন দ্রাবিড়। প্রথম দু’টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অর্ধশতরান করেছেন তিনি। উইকেটও নিয়েছেন। হার্দিকের বিকল্প তিনিই হতে পারেন। শিবমকে নিয়ে দ্রাবিড় বলেন, ‘‘শিবমের খেলা অনেক বদলে গিয়েছে। এখন ও অনেক দায়িত্ব নিয়ে খেলে। আফগানিস্তান সিরিজ়ে ভাল খেলায় শিবমের আত্মবিশ্বাস বাড়বে। টি-টোয়েন্টিতে সব সময় অলরাউন্ডারের গুরুত্ব বেশি। আইপিএলে ভাল খেলতে পারলে শিবমের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে।’’ শিবমের দরাজ প্রশংসার পরেই হার্দিককে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।

দ্রাবিড়ের আগে রোহিত জানিয়েছেন, বিশ্বকাপের দলে সবাইকে সুযোগ দেওয়া সম্ভব নয়। রোহিত বলেন, “এখনও ১৫ জনের দল নির্বাচন হয়নি। কিন্তু ৮-১০ জন ক্রিকেটার এখন থেকেই আমাদের মাথায় রয়েছে। তাই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে দলের কম্বিনেশন নিয়ে ভাবব। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের পিচ মন্থর। তাই সে রকমই দল বাছতে হবে। আমি এবং কোচ রাহুল দ্রাবিড় যথাসম্ভব স্বচ্ছতা রেখে চলেছি। ক্রিকেটারদের বুঝিয়ে বলি কেন তাদের নেওয়া হয়েছে বা কেন তাদের নেওয়া হল না।”

তার পরেই রোহিতের হুঁশিয়ারি, সবাইকে খুশি করা যাবে না। দলের স্বার্থে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। বলেছেন, “নির্বাচনে সবাইকে খুশি করতে পারব না। অধিনায়ক হিসাবে এটাই শিখেছি। ১৫ জনকে খুশি রাখতে পারি। কিন্তু আরও ১১ জন থাকবে যারা খুশি হবে না। যে চার জন রিজ়ার্ভ বেঞ্চে থাকবে তাদের মনেও প্রশ্ন আসতে পারে যে কেন তারা খেলছে না। সবাইকে খুশি রাখা যাবে না এটা বুঝেছি। তাই দলের স্বার্থ সবার আগে মাথায় রাখি।” অনেকটা সেই কথা শোনা গেল দ্রাবিড়়ের মুখেও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.