Hardik Pandya: হার্দিকের ফিটনেস নিয়ে এল বিরাট আপডেট, কবে মাঠে নামছেন তারকা অলরাউন্ডার?

গত সপ্তাহে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (Mumbai Indians) বিরাট ঘোষণা চমকে দিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট অনুরাগীদের! আইপিএলের অন্য়তম সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি জানিয়েছিল যে, নীল সাম্রাজ্য়ে এবার রোহিত (Rohit Sharma) যুগের অবসান! মুম্বইয়ের মসনদে এখন থেকে হার্দিক পাণ্ডিয়া (Hardik Pandya)। চব্বিশের আইপিএলে (IPL 2024) হার্দিকের নেতৃত্বেই খেলবে পাঁচবারের চ্য়াম্পিয়ন টিম। তবে এর মাঝেই এক চমকে দেওয়া খবর চলে আসে, জানা যাচ্ছিল যে, গোড়ালির চোটের জন্য় নাকি হার্দিক আসন্ন আইপিএল খেলতে পারবেন না। এমনকী ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তিন ম্য়াচের টি-২০ সিরিজও (Afghanistan Tour Of India, 2024) নাকি খেলতে পারবেন না। তবে এখন হার্দিককে নিয়ে চলে এল বিরাট আপডেট। ভারতীয় দলের স্টার অলরাউন্ডার নাকি পুরোপুরি ফিট হয়ে গিয়েছেন। 

হার্দিকের সাম্প্রতিক আপডেট নিয়ে এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্য়ম রিপোর্ট দিয়েছে। যেখানে আইপিএলের এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘হার্দিক পুরোপুরি সেরে উঠেছে ওর গোড়ালির চোট থেকে। যাকে বলে ফিট অ্যান্ড ফাইন। ও প্রতিদিন ট্রেনিং করছে। আইপিএলের আগে ও নিশ্চিত ভাবে ফিট হয়ে যাবে। সম্ভবত আফগানিস্তান সিরিজের আগেই। হার্দিকের আইপিএল খেলতে না পারার যাবতীয় কথাবার্তা একেবারে গুজব। আইপিএল শুরু হতে এখনও প্রায় চার মাস বাকি আছে। এই মুহূর্তে খেলা না খেলার কথা বলা নিছকই জল্পনা।’

বিশ্বকাপ খেলা চলাকালীনই হার্দিকের চোট লেগেছিল। সেই চোটের জন্য় তিনি পুরো বিশ্বকাপই খেলতে পারেননি। তাঁর পরিবর্তে দলে নেওয়া হয়েছিল প্রসিধ কৃষ্ণাকে। এমনকী বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরেও হার্দিক ফিট হতে পারেননি। তাঁর পক্ষে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টি-২০ সিরিজ খেলা সম্ভব হয়নি। এমনকী দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চলতি তিন ফরম্য়াটের লড়াইতেও তিনি নেই। হার্দিকের ফিটনেসের প্রসঙ্গে বিসিসিআই-এর এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই রিপোর্ট করেছিল। ‘হার্দিকের ফিটনেস এখন ঠিক কোন জায়গায়, সেই ব্য়াপারে আমাদের কাছে কোনও আপডেট নেই। তবে আইপিএলে ওর খেলা নিয়ে বড় রকমের প্রশ্নচিহ্ণ রয়েছে।’ 

গত ১৯ অক্টোবর ভারত খেলেছিল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। পুণের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে শেষবার হার্দিককে দেশের জার্সিতে দেখা গিয়েছিল। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বল করার সময়ে হার্দিক চোট পেয়েছিলেন হাঁটুতে। লিটন দাস ড্রাইভ করেছিলেন হার্দিকের বলে। ডান পা বাড়িয়ে বল রুখতে গিয়েছিলেন হার্দিক। এরপরই তিনি চোট পান। ছুটে আসেন ফিজিয়ো। খেলা বন্ধ থাকে প্রায় পাঁচ মিনিট। ফিজিয়ো এসে হার্দিকের হাঁটুতে স্ট্র্যাপ বেঁধে দিয়েছিলেন। এরপর হার্দিককে পুণে থেকে বেঙ্গালুরুর জাতীয় অ্যাকাডেমিতে উড়িয়ে আনা হয়। ওখানে ইংল্যান্ডের বিশিষ্ট ডাক্তারও তাঁকে দেখেন। দেওয়া হয়েছিল ইঞ্জেকশনও। তবুও হার্দিককে আর বিশ্বকাপে মাঠে নামানো যায়নি। রোহিতরা লিগ পর্যায়ের শেষ দুই ম্য়াচ খেলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা (ইডেন গার্ডেন্স, ৫ নভেম্বর) ও নেদারল্যান্ডসের (বেঙ্গালুরু, ১২ নভেম্বর) বিরুদ্ধে। ইডেনে ভারত নামার আগেই জানা গিয়েছিল যে, আর পাওয়া যাবে না হার্দিককে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.