Guillain Barre Syndrome: সাবধান! দূষিত জলে থেকেই ছড়াচ্ছে স্নায়ু অসাড় করা প্রাণঘাতী গিয়ান বার…

 বিরল স্নায়ুরোগ গিয়ান বার সিনড্রোমের প্রাথমিক উপসর্গের মধ্যে রয়েছে হাত-পা দুর্বল হয়ে অসাড় হয়ে যাওয়া, ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা। পরবর্তীতে শ্বাসকষ্ট দেখা দিচ্ছে। খাবারে বিষক্রিয়া বা দূষিত জল থেকেই মূলত এই রোগ হয় বলে জানা গিয়েছিল। এবার মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রকাশ আবিতকারের দাবি, দূষিত জলের কারণেই এই রোগের বাড়বাড়ন্ত। এমনকী পুণেতে গিয়ান বারের কারণও নোংরা জল। 

বিরল এই স্নায়ুরোগের প্রাথমিক উপসর্গগুলি খুবই সাধারণ। প্রথম উপসর্গ যেমন হাত-পা দুর্বল হয়ে অসাড় হয়ে যাওয়া। প্রথমে পা দিয়ে শুরু হয়, তারপর হাত ও মুখেও ছড়ায়। সিভিয়ার GBS-এর ক্ষেত্রে কথা বলতে অসুবিধা হয়। খাবার গিলতে অসুবিধা হয়। হতে পারে শ্বাসকষ্টও। এমনকি প্রাণের ঝুঁকি পর্যন্ত হতে পারে। পুণে গিয়ে মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে ১ জন রোগী ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। তবে সকালে কমপক্ষে সাত জনকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।’

এদিন তিনি আরও বলেন, মূলত সিংহাগাদ অঞ্চল থেকে ৮০ টি তীব্র ফ্ল্যাকসিড প্যারালাইসিসের কেস রয়েছে। জিবিএস তীব্র ফ্ল্যাকসিড প্যারালিসিসের সাধারণ কারণ। প্রত্যেকেরই বয়স ২১ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। পুণে পৌর কর্পোরেশন (পিএমসি) এর অন্তর্ভুক্ত গ্রামগুলি এবং এই অঞ্চলে জল চিকিত্সা কেন্দ্র নেই। যেহেতু রোগীরা বেশিরভাগ একই অঞ্চল থেকে এসেছেন, সম্ভবত এটি দূষিত জল প্রাদুর্ভাবের কারণে হয়ে থাকতে পারে। 

রাজ্য সরকার জানিয়েছে যে খুব শীঘ্রই এটি জলের উত্স এবং জলের চিকিত্সার জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রোটোকলের একটি তালিকা জারি করবে। তিনি মদ্যপানের আগে লোকেরা জল ফুটিয়ে নেওয়ার আবেদনও করেন। জলের উত্স পরীক্ষা করা ব্যতীত, পিএমসি ট্যাঙ্কারদের দ্বারা সরবরাহিত জল পরীক্ষার জল ব্যবহারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জরিপের প্রাদুর্ভাবের আশেপাশে বিশ্লেষণের জন্য প্রায় ১৮০  টি জলের নমুনা প্রেরণ করা হয়েছিল এবং ৬৫,০০০ লোককে উপর করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.