Global Warming | Cow Fart: গোরুর বাতকর্ম বন্ধের ভ্যাকসিনেই সারবে বিশ্বের অসুখ, কমবে উষ্ণায়ণ!

শুধুমাত্র ঘাস খেয়েই বেঁচে থাকতে পারে গোরু। আমাদের চোখের সামনে থাকা উপরাকী প্রাণীদের মধ্যে গোরুর এই ক্ষমতা অবাক করার মতো। কিন্তু তার জন্য আমাদের এই পৃথিবীকে বড় মূল্য দিতে হয়। কারণ ওই ঘাস গোরুর পাকস্থলীতে গিয়ে তৈরি করে মিথেন। সেই গ্যাস বের হয় গোরুর বাতকর্মের মাধ্যমে। সেই মিথেন কার্বন ডাই অক্সাইডের থেকে ২৮ গুণ বেশি শক্তিশালী। তবে বায়ুমণ্ডলের এর স্থায়িত্ব কার্বন ডাই অক্সাইডের থেকে অনেক কম। একটি গোরু বছরে প্রায় ২০০ পাউন্ড মিথেন উত্পাদন করে। পরিবেশে  বিভিন্ন জিনিস পচে যে মিথেন তৈরি হয় তা বিশ্বের উষ্ণায়ণের জন্য় অন্তত ৩০ শতাংশ দায়ি।

মিথেন গ্যাসের উত্পাদন কম করার জন্য বিভিন্ন গো পালন সংস্থা গোরুদের খাবারে বিশেষ ওষুধ ব্য়বহার করে। এর ফলে  গোরুর পাকস্থলীতে মিথেন গ্যাস উত্পাদন কম করে। এর অনেক সাইড এফেক্টও রয়েছে। ফলে পশু বিজ্ঞানীরা একটি ভ্যাকসিনের দিকে ঝুঁকেছেন। প্রায় তিন বছর গবেষণা করে ব্রিটেনের পিরব্রাইট ইনস্ট্টিউট একটি ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। এতে পশুর স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।

সংস্থায় ডিরেক্টর জন হ্যামন্ড বলেছেন, গোরুর এই ভ্যাকসিন অন্যান্য ভ্যাকসিনের মতোই। গোরুর ছোট বয়সে ওই ভ্যাকসিন তাকে দিয়ে দেওয়া হবে। তার ফলে তাঁর শরীরে থাকবে জীবনভর। এতে তার দেহে মিথেন গ্যাসের উত্পাদন কমবে ৩০ শতাংশ। গোরুর বাতকর্ম কম করার জন্য কয়েক দশক ধরে চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এনিয়ে বহু টাকা বিনিয়োগও করে ফেলেছে বহু দেশ। কারণ গোরুর স্বাস্থ্যের থেকে তাদের কাছে বড় বিষয় হল বিশ্ব উষ্ণায়ন। সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে এমন ভ্য়াকসিন সম্ভব।

হ্য়ামন্ড আরও বলেন, ভ্যাকসিনকে এমন একটি অ্যান্টি বায়োটিক তৈরি করতে হবে যা মিথেন উত্পাদন কম করবে। এরকম একটি ভ্যাকসিন তৈরি অত্যন্ত জটিল বিষয়। পাশাপাশি ওই ভ্যাকসিন যে গোরুর শরীরে কোনও বিরূপ প্রভাব ফেলবে না তা প্রমাণ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.