১ লক্ষ ৩২ হাজারের গ্যালারি ফাঁকা, নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে মোদীর হাত থেকেই ট্রফি নিল অস্ট্রেলিয়া

নিজের নামের স্টেডিয়ামে তখন দাঁড়িয়ে তিনি। পরনে নীল রঙের জ্যাকেট। সঙ্গে গেরুয়া বর্ডার দেওয়া নীল উত্তরীয়। সেই পোশাক পরেই বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নদের হাতে ট্রফি তুলে দিলেন তিনি। শুধু কাপটা দেওয়া হল না নীল জার্সিদের। ভারতের বদলে অস্ট্রেলিয়ার হাতে ট্রফি তুলে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তত ক্ষণে অবশ্য ১ লক্ষ ৩২ হাজারের স্টেডিয়াম প্রায় ফাঁকা হয়ে গিয়েছে।

ভারতের হার প্রায় নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই ফাঁকা হতে শুরু করেছিল স্টেডিয়াম। বেরিয়ে যাচ্ছিলেন ভারতীয় সমর্থকেরা। খেলা যখন শেষ হল তখন স্টেডিয়াম অনেকটাই ফাঁকা। যাঁরা ছিলেন তাঁদের মধ্যে অনেকে পুরস্কার অনুষ্ঠান পর্যন্ত অপেক্ষা করেননি।

এ দিকে খেলা শেষ হওয়ার আগেই স্টেডিয়ামে এসে উপস্থিত হন মোদী। গ্যালারিতে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। খেলা শেষে যখন প্যাট কামিন্সকে ট্রফি তুলে দেওয়া হবে তখনই সঞ্চালক রবি শাস্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে সেখানে আমন্ত্রণ জানান। সঙ্গে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস। মোদী মঞ্চে ওঠার পরে একটু চিৎকার হয়। কিন্তু তা মোদীর যে কোনও জনসভার থেকে অনেকটাই কম। প্রধানমন্ত্রীও হাত নাড়েন। তার পরে ট্রফি তুলে দেন কামিন্সের হাতে। সাধারণত আইসিসির সভাপতি ট্রফি তুলে দেন জয়ী অধিনায়কের হাতে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে মোদী, রিচার্ডের হাত থেকে ট্রফি নিলেন কামিন্স।

চলতি বিশ্বকাপে ভারত যে ভাবে খেলছিল তাতে বিশ্বকাপ জেতার প্রধান দাবিদার ছিল তারা। সেই কারণে ১ লক্ষ ৩২ হাজারের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম খেলা শুরুর আগেই ভরে গিয়েছিল। কিন্তু ফাইনালে হতাশ করেছেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সবেতেই ব্যর্থ। দলের হার মেনে নিতে পারেননি সমর্থকেরা। তাই খেলা শেষ হওয়ার আগে ফাঁকা হয়েছে মাঠ। মোদীকেও তার সাক্ষী থাকতে হল।

ম্যাচ শেষে অবশ্য ভারতীয় ক্রিকেটারদের প্রশংসা করেছেন মোদী। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ‘‘গোটা প্রতিযোগিতা ধরে তোমাদের প্রতিভা ও অধ্যবসায়ের প্রশংসা করতে হয়। তোমরা খুব ভাল ক্রিকেট খেলেছে। দেশকে গর্বিত করেছ। আমরা তোমাদের পাশে আছি আর থাকব।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.