গাইঘাটায় পুড়িয়ে মারা হয়েছে ব্যক্তিকে, নাকি আত্মহত্যা? ধন্দে পুলিশ

 শ্বাসরোধ করে ঘরে আগুন লাগিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল এক পরিবারের বিরুদ্ধে। পুড়িয়ে খুন নাকি আত্মহত্যা তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। সম্প্রতি একটি খুনের মামলায় জেলে ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার শিমুল্পরের হাজরা তলার বাসিন্দা বাবলু বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ঘর থেকে বাবলুর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, মামলাকারীরা ঘরের মধ্যে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে। তারপর ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালানো হয়।

পুলিশ সূত্রের খবর, ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে হাজার তলার একটি জবা বাগান থেকে পঙ্কজ শিকারী নামে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তার পরিবার থেকে খুনের অভিযোগ হয়েছিল। সেই খুনের মামলায় গ্রেফতার হয়েছিল বাবলু। প্রায় আটমাস পর গত ২০ তারিখে সেই মামলায় জামিন পান তিনি। আর গতকাল রাতে তার ঘর থেকে অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। বাবলুর স্ত্রী গৌরি বিশ্বাস বলেন, পঙ্কজ শিকারী খু্নের ঘটনায় আমার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছিল। স্বামী জেলে যাওয়ার পর থেকে পঙ্কজের পারিবার আমাদের দেখলেই খুনের হুমকি দিত। বাবলু জেল থেকে বেরনোর পরও মেয়েকে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ। এদিন রাতে মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়িতে ছিলেন বাবলুর স্ত্রী। রাতে খেয়েদেয়ে মেয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলে। ঠিক তার আধঘন্টা পর খবর আসে ঘরে আগুন লেগেছে।

আশপাশের লোকজন চেষ্টা করেছে আগুন নেভানোর, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ঘরে ঢুকে দেখা যায় বাবলুর পা দুটি জানালার উপরে। গলায় কালো দাগ। পরিবারের অভিযোগ, শ্বাসরোধ করে খুন করে ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে গাইঘাটা থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পুড়িয়ে খুন নাকি আত্মহত্যা, ধন্দে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.