‘সংস্কারের প্রয়োজন’ থেকে ‘যুদ্ধে যাওয়ার’ প্রতিশ্রুতি! এইচ-১বি ভিসা নিয়ে বার বার মত বদলেছেন মাস্ক

কখনও বলেছিলেন ‘সংস্কারের প্রয়োজন’, আবার কখনও সরাসরি ‘যুদ্ধে যাওয়ার’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন! আমেরিকার এইচ-১বি ভিসা নিয়ে ক্ষণে ক্ষণে নিজের মত পরিবর্তন করেছিলেন টেসলা কর্তা ইলন মাস্ক। কিন্তু এইচ-১বি ভিসা নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের নয়া নির্দেশনামা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে কার্যত নীরবই রয়েছেন তিনি।

টেসলা হোক বা স্পেসএক্স— তাঁর মালিকাধীন কোম্পানিতে বহু দক্ষ বিদেশি কর্মী কাজ করেন। আমেরিকার নয়া ভিসানীতির পর চিন্তায় পড়েছে আমেরিকার বহুজাতিক সংস্থাগুলি। ভবিষ্যতে দক্ষ বিদেশি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে চিন্তা থাকছে তাদের। কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন স্পষ্ট জানিয়েছে, এখন থেকে এইচ-১বি ভিসার জন্য মার্কিন সংস্থাগুলির কাছ থেকে কর্মীপিছু এককালীন এক লক্ষ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৮৮ লক্ষ টাকা) নেওয়া হবে। সেই তালিকায় বাদ নেই টেসলা বা স্পেসএক্স।

আমেরিকায় ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফায় নানা বিষয় নিয়ে চর্চা হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ট্রাম্প ও মাস্কের সম্পর্ক। এক সময়ের বন্ধু এখন ট্রাম্পেরই ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’! বিশ্ববাসী দেখেছেন, তাঁদের সম্পর্কের ওঠানামা। প্রকাশ্যে কাদা ছোড়াছুড়িও করেছেন তাঁরা। ট্রাম্পের নীতি পছন্দ না-হওয়ায় তাঁর শিবির ছেড়েছিলেন মাস্ক। তাঁর বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন ট্রাম্পও। মাস্কের কোম্পানির উপর মোটা অঙ্কের কর চাপানোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি। সেই আবহে ট্রাম্পের নয়া ভিসানীতি নিয়ে মাস্কের নীরবতায় প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। এইচ-১বি ভিসা নিয়ে মাস্কেরই পুরনো কিছু এক্স পোস্ট ঘুরছে নেট দুনিয়ায়।

মাস্ককে কখনও বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘কোনও সন্দেহ নেই যে এইচ-১বি ভিসা ব্যবস্থার পুনর্গঠনের প্রয়োজন।’’ আবার কখনও উল্টো সুরও শোনা গিয়েছে মাস্কের কণ্ঠেই। এক সময়ে তিনি এ-ও জানিয়েছিলেন, এইচ-১বি ভিসা ব্যবস্থা রক্ষা করার জন্য ‘যুদ্ধ’ করতে প্রস্তুত। তাঁর কোম্পানি গড়ে তোলার নেপথ্যে বিদেশি প্রতিভার অবদানের উপর জোর দিয়েছিলেন মাস্ক। শেষ পর্যন্ত এইচ-১বি ভিসা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন, তাঁর নয়া ঘোষণা করেছে। তবে মাস্ক এখন কোন পক্ষে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.