“কয়লা, গরু পাচার থেকে শিক্ষক নিয়োগে ২৩ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি তৃণমূলের,” বললেন নরেন্দ্র মোদী

 মঙ্গলবার বিজেপির বুথ স্তরের কর্মীদের নিয়ে হওয়া একটি সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, লোকসভা ভোটের আগে একে অন্যের হাত ধরেছে দুর্নীতিগ্রস্তরা। একসময় যারা একে অন্যকে গালাগালি দিতেন তারাই একে অপরকে প্রণাম করছেন। কংগ্রেস, তৃণমূল, ডিএমকে সহ বিরোধী একাধিক দলকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী।

লোকসভা ভোটের আগে বিরোধী জোটকে আক্রমণের পাশাপাশি তৃণমূলের বিরুদ্ধে কুড়ি হাজার কোটির বেশি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে সরব হলেন মোদী। সারদা, রোজভ্যালি ও শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ২৩ হাজার কোটি টাকা নয় ছয় করেছে তৃণমূল কংগ্রেস বলে অভিযোগ করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ান নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায় মানুষ এই দুর্নীতি ভুলবে না।

“আমার বুথ সবচেয়ে মজবুত,” বিজেপির কর্মসূচিতে নরেন্দ্র মোদী বলেন, বিজেপির যারা ঘোর বিরোধী ছিল তাদের মধ্যে ২০১৪ বা ২০১৯ সালে এত ছটফটানি দেখিনি। আজ এত ছটফটানি কেন? যাদের এক সময় কিছু লোক শত্রু বলতো, গালাগালি করত, তারা এখন সেইসব লোককে প্রণাম করছে। এটা হল ওদের বাধ্যবাধকতা। বিরোধী দলের এইসব ছটফটানি ও আতঙ্ক প্রমাণ করে দেশের মানুষ এদের ক্ষমা করবে না।

তাঁর আরও দাবি, ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজেপিকে ফের ক্ষমতায় আনার ব্যাপারে মনস্থির করে ফেলেছেন তিনি। মোদী বলেন, বিরোধীদের এই জোটে এমন কিছু লোক আছেন যারা জেল ফেরত। তাদের সঙ্গে মিলিত হচ্ছে বিরোধী নেতারা। সাম্প্রতিককালে গ্যারান্টি বলে একটা শব্দ জনপ্রিয় হয়েছে। এটা হল দুর্নীতিগ্রস্তদের শাস্তির গ্যারান্টি। বিরোধীদের নিশানা করে মোদী বলেন, দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে যখন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তখন তারা একজোট হচ্ছে। যারা জেল ফেরত, আর জেল যাদের ডাকছে তাদের মধ্যে এখন যুগলবন্দি দেখা যাচ্ছে। ছবিতে যাদের দেখা যাচ্ছে তাদের সবার দুর্নীতি যদি হিসেব করেন তাহলে দেখা যাবে এরা মোট কুড়ি লাখ কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে। কংগ্রেসের একার দুর্নীতি লাখ, কোটি টাকার বেশি। তৃণমূলের বিরুদ্ধেও ২৩ হাজার কোটি টাকার বেশি দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

রোজভ্যালি, সারদা, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচার, কয়লা পাচার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মানুষ এসব দুর্নীতির কথা কখনো ভুলবে না।

কংগ্রেসকে বিঁধে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন হেলিকপ্টার থেকে সাবমেরিন কোথাও দুর্নীতি বাকি রাখেনি ওরা। লালু প্রসাদকে নিশানা করে তিনি বলেন, ওদের দলের দুর্নীতির তালিকা এত বড়, যে বিচার ব্যবস্থাও একের পর এক রায় দিতে গিয়ে ক্লান্ত।

অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন, ভূপাল থেকে প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন তাতে মুখ্যমন্ত্রীর উচ্চ রক্তচাপ হয়ে যাওয়ার কথা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.