কালিয়াগঞ্জের ঘটনার জের, সাত দিনের মধ্যে দিল্লিতে তলব জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং আইজি-কে

উত্তর দিনাজপুরে নাবালিকাকে গণধর্ষণ-খুনের অভিযোগের ঘটনায় রাজ্য পুলিশের আইজি (উত্তরবঙ্গ), উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার ও জেলাশাসককে নোটিস জারি করল জাতীয় তফসিলি জাতি কমিশন।

কমিশনের নির্দেশ, সাত দিনের মধ্যে এই তিন জনকে দিল্লিতে তাদের দফতরে হাজির হয়ে ওই ঘটনার বিশদ ব্যাখ্যা দিতে হবে। এই ঘটনায় জেলার পুলিশ সুপার, কালিয়াগঞ্জ থানার আইসি এবং এই মামলার তদন্তকারী অফিসারকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করারও সুপারিশ করেছে তারা।

নাবালিকার মৃত্যু ও পুলিশের বিরুদ্ধে অমানবিক ভাবে তার দেহ উদ্ধার নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ায় পরেই জাতীয় তফসিলি জাতি কমিশনের উপাধ্যক্ষ অরুণ হালদার রবিবার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে তিনি জানান, তাঁর সঙ্গে রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা তখন অসহযোগিতা করেছেন। জেলাশাসক, এসপি তো দূরের কথা, তদন্তকারী অফিসারও তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি। তাঁরা যে ব্যাখ্যা ঘটনাস্থলেই দিতে পারতেন, তা না করায় এখন দিল্লিতে এসে ব্যাখ্যা দিতে হবে। অরুণ বলেন, ‘‘নোটিসে সাড়া দিয়ে না এলে, কমিশনের সমন পাঠানো এবং প্রয়োজনে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির ক্ষমতা রয়েছে।’’

বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ তুলেছিলেন, রাজ্যে কিছু ঘটনা ঘটলেই কেন্দ্রীয় সরকারের কর্তাব্যক্তিরা রাজ্যে হাজির হচ্ছেন। আজ অরুণ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কমিশনের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। এর পিছনে রাজনীতি দেখছেন। কিন্তু প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের বোঝা উচিত, কমিশনের সঙ্গে সহযোগিতা না করলে তাঁদের বিপদ হতে পারে। যে ভাবে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠক থেকে প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন বলে আলাপনের অবসরকালীন সুযোগসুবিধা আটকে গিয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে ঘটনার আসল তথ্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ তুলে অরুণ বলেন, তাঁরা এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট পাঠাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.