ক্রিকেট হোক বা ফুটবল, নিজেদের দেশের মুখ পোড়ানোর ঐতিহ্য বজায় রেখেছে পাকিস্তান। আট বছরে এই নিয়ে তৃতীয় বার পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশন ওরফে পিএফএফকে (PFF) সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করল ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা ফিফা (FIFA)।
কোন দোষে শাস্তি পাচ্ছে পাকিস্তান? ফিফার নির্দেশ মেনে সংবিধান সংশোধন করতে পিএফএফ ব্যর্থ হওয়ায় নেমে এল শাস্তির খাঁড়া। এই সংবিধানই সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন নিশ্চিত করে। ফিফা এর আগে ২০১৭ এবং ২০২১ সালে পিএফএফকে নিলম্বিত করেছিল তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কারণে। ২০২২ সালে পাকিস্তানের উপর থেকে সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছিল, যখন পিএফএফের নরমালাইজেশন কমিটি ফিফাকে জানিয়েছিল যে, ফেডারেশনের অর্থ ও প্রাঙ্গণের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছে তারা।
নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বিবৃতিতে ফিফা জানিয়েছে, ‘ সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধনে ব্যর্থ হয়েছে পিএফএফ। অবিলম্বে তাদের নিলম্বিত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের কাজকর্মেও রাশ টানা হচ্ছে। ফিফা এবং এএফসির সংশোধিত সংবিধানের প্রস্তাব পিএফএফ কংগ্রেস মেনে নেওয়ার পরেই শাস্তি প্রত্যাহার করা হবে’!
পিএফএফ নরমালাইজেশন কমিটির চেয়ারম্যান হারুন মালিক ফিফার শাস্তি নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, ‘ফিফা পিএফএফ সংবিধানকে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে কিছু সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু নবনির্বাচিত পিএফএফ কংগ্রেসের বেশিরভাগ সদস্য ফিফার প্রস্তাবগুলির সঙ্গে একমত হননি’।
শাস্তি না ওঠা পর্যন্ত পাকিস্তান কোনও আন্তর্জাতিক আসরে যেমন অংশ নিতে পারবে না, তেমনই ফুটবলের নিয়ামক সংস্থার কাছ থেকে কোনও অনুদান এবং সহায়তা পাবে না বিশ্বের ১৯৮ নম্বর ফুটবল খেলিয়ে দেশ। পাকিস্তানের সঙ্গে কঙ্গো রিপাবলিকও নিলম্বিত হয়েছে। তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কারণে তারা এই শাস্তি পেল।