Exit Poll অচিরেই সামাজিক মাধ্যমে খলনায়ক হয়ে উঠল এক্সিট পোল

সাত দফায় ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হয়েছে শনিবার। শেষ দফার ভোটদান এবং গণনার মাঝে ছিল তিন দিনের ব্যবধান। এই তিন দিন কিন্তু নিস্তরঙ্গ ছিল না। বরং এই তিন দিনে দেশের রাজনীতিতে ছড়ি ঘুরিয়েছে বুথফেরত সমীক্ষা। তাতে প্রায় ফেল বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। সামাজিক মাধ্যমে খলনায়ক হয়ে উঠল এক্সিট পোল।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ও কলমলেখক, প্রেস ক্লাব, কলকাতার প্রাক্তন সম্পাদক রঞ্জিত রায় বেলা ১২টা ২৫-এ বড় হরফে লিখেছেন, “বুথ ফেরৎ সমীক্ষা এবার ডাঁহা ফেল”। সামাজিক মাধ্যমের দেওয়ালে প্রেস ক্লাব, কলকাতার সম্পাদক তথা, একটি দৈনিকের যুগ্ম সম্পাদক কিংশুক প্রামাণিক বড় হরফে লিখলেন, ‘এক্সিট পোল হাস্যকর’। পোস্ট করার প্রথম ১৫ মিনিটে ১৪টি মন্তব্য। প্রত্যেকেরই সায় পোস্ট-এর সমর্থনে।

একটি বাংলা সংবাদ চ্যানেলের সাংবাদিক পৌলমী দাস পাঁচটি ছোট হাস্যমুখ-সহ লিখলেন ‘এক্সিট পোল’ কথাটি। তার নিচে উল্টানো বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ। ডালিয়া ঘোষাল বড় হরফে লিখলেন, “এক্সিট পোল এক্কেবারে আউট কইরা দিতাছে দেহি। দেহেন তো ধ্যান কিছু টনিক দেয় কিনা।” বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এভাবেই এগিয়ে যেতে থাকে এক্সিট পোল নিয়ে নানা মন্তব্য।

যে কোনও নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে থাকে বুথফেরত সমীক্ষা। নির্বাচন কমিশনের ফল ঘোষণার আগে সকলে এই সমীক্ষাগুলির দিকে চেয়ে থাকে। ভোটের পরে তা নিয়ে চলে বিস্তর চর্চা। এবার বিভিন্ন গোষ্ঠীর করা সমীক্ষায় অনেকটা একই সুর ধরা পড়েছিল। যাঁরা সেই সব সমীক্ষার ফলে উল্লাস প্রকাশ করছিলেন, তাঁদের অধিকাংশই মুহ্যমান হয়ে পড়েছেন। উল্লসিত পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের সমর্থকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.