EXCLUSIVE Rani Mukerji: ‘সব মায়েদের উত্‍সর্গ করলাম এই জয়’, ৩ দশকের কেরিয়ারে প্রথম জাতীয় পুরস্কার! আবেগে ভাসলেন রানি…

৩০ বছর অভিনয়ের পর অবশেষে শুক্রের সন্ধেতে এল সুসংবাদ। প্রথমবার জাতীয় পুরস্কার (71st National Film Awards) পেলেন অভিনেত্রী রানি মুখোপাধ্যায় (Rani Mukerji)। ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ (Mrs Chatterjee vs Norway) ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেলেন নব্বইয়ের অন্যতম জনপ্রিয় এই নায়িকা। ৩ দশক বলিউডে কাটিয়ে এই পুরস্কার কতটা গুরুত্বপূর্ণ তাঁর জন্য, কী বলছেন রানি?

অভিনেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “আমি অভিভূত। কাকতালীয়ভাবে, এটি আমার ৩০ বছরের কেরিয়ারে প্রথম জাতীয় পুরস্কার। একজন অভিনেত্রী হিসেবে, আমি আমার গোটা কেরিয়ারে অবিশ্বাস্য কিছু ছবিতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি এবং সেগুলোর জন্য অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ছবিতে আমার কাজকে সম্মান জানানোর জন্য জাতীয় পুরস্কারের জুরিকে আমি ধন্যবাদ জানাই। আমি এই মুহূর্তটি ছবির পুরো দলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই—আমার প্রযোজক নিখিল আদবানী, মনীশা ও মধু, পরিচালক অসীমা ছিব্বর এবং এই বিশেষ ছবিতে কাজ করা প্রত্যেকের সঙ্গে, যা মাতৃত্বের অদম্য শক্তিকে উদযাপন করেছে। আমার কাছে এই পুরস্কারটি আমার ৩০ বছরের কাজের প্রতি গভীর নিষ্ঠা, অভিনয়ের প্রতি আমার আত্মিক সংযোগ এবং আমাদের এই সুন্দর চলচ্চিত্র শিল্পের প্রতি আমার ভালোবাসার এক দারুণ স্বীকৃতি”।

রানি আরও বলেন, “আমি এই জাতীয় পুরস্কার বিশ্বের সমস্ত অসাধারণ মায়েদের উৎসর্গ করছি। মায়ের ভালোবাসার মতো আর কিছু নেই, এবং তার সন্তানকে রক্ষা করার জন্য তার যে অদম্য শক্তি, তার তুলনা হয় না। একজন ভারতীয় অভিবাসী মায়ের গল্প, যিনি তার সন্তানের জন্য একটি জাতির বিরুদ্ধে লড়েছিলেন, আমাকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছিল। একটি সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসা নিঃশর্ত, আর আমার যখন নিজের সন্তান হলো, তখন আমি তা উপলব্ধি করতে পারলাম। তাই, এই জয়, এই ছবিটি আমার কাছে খুবই আবেগপূর্ণ এবং ব্যক্তিগত। একজন মা তার সন্তানের জন্য পাহাড় সরাতে পারেন এবং পৃথিবীকে আরও সুন্দর করে তুলতে পারেন। এই ছবিটি সেই কথাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছে”।

অভিনেত্রীর কথায়, “এই মুহূর্তে আমার সমস্ত ভক্তদের আবারও ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা ৩০ বছর ধরে আমাকে নিরলসভাবে সমর্থন করে এসেছেন! আপনাদের নিঃশর্ত ভালোবাসা এবং সমর্থন আমার প্রতিদিন কাজ করার প্রেরণা, যা আমাকে বিনোদন উপহার দিতে সাহায্য করে। আপনারা আমার প্রতিটি চরিত্র, প্রতিটি গল্পকে আপন করে নিয়েছেন, যা আমি পর্দায় তুলে ধরার সৌভাগ্য পেয়েছি। তাই, আপনাদের ছাড়া আমি আজ কিছুই হতে পারতাম না”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.