আইসিসি-র লভ্যাংশের ৩৮.৫ শতাংশ ভাগ পাবে ভারতীয় বোর্ড। অঙ্কের হিসাবে যা ১৯৬৮ কোটি টাকা। তবে এই টাকাও যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন রবি শাস্ত্রী। ক্রিকেটের প্রতি ভারতের যা অবদান, তার জন্য আইসিসি-র থেকে ভারতীয় বোর্ডের আরও বেশি লভ্যাংশ চাওয়া উচিত বলে মনে করেন শাস্ত্রী। তাঁর মতে, এই লভ্যাংশ চাওয়ার হক রয়েছে ভারতের।
২০২৪-২৭ চক্রে ভারতকে ৩৮.৬ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইংল্যান্ডের থেকে ছ’গুণ বেশি লভ্যাংশ পাবে ভারত। ইংল্যান্ড পাবে ৬.৮৯ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া পাবে ৬.২৫ শতাংশ। ১২ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়া হবে ন’টি পূর্ণ সদস্য দেশকে। ভারতের এই ‘দাদাগিরি’ নিয়ে অতীতে সরব হয়েছে অনেক দেশই।
তবে সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন শাস্ত্রী। ‘উইজ়ডেন’-এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “আমি চাই ভারত আরও বেশি লভ্যাংশ পাক। কারণ আইসিসি যে অর্থ পায় তার বেশির ভাগটাই আসে ভারতের বাজার থেকে। তাই ভারতকেও সঠিক লভ্যাংশ দেওয়া দরকার। কোনও দিন হয়তো অন্য কোনও দেশের অর্থনীতি উন্নত হয়ে যাবে। সেখান থেকে আইসিসি বেশি টাকা পাবে। ’৭০ বা ’৮০-র দশকে তেমনটাই হত।”
শাস্ত্রীর সংযোজন, “সঠিক ভাবেই আইসিসি-র আয়ের আরও বেশি অংশ চাইতে পারে ভারত। ওরা যখন বিদেশে যায় তখন সম্প্রচারস্বত্ব থেকে কত টাকা ওঠে সেটা খেয়াল করে দেখুন। আমাদের দেশে এলে কত টাকায় সম্প্রচারস্বত্ব বিক্রি করা হয় সেটা দেখুন। আমার মতে, আরও বেশি টাকা পেলে তবেই সঠিক বিচার হবে।”
অতীতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) অবশ্য প্রকাশ্যে ভারতের এই লভ্যাংশ পাওয়ার বিরোধিতা করেছিল। তৎকালীন পিসিবি প্রধান নজম শেট্টি বলেছিলেন, “আমরা এখনকার লভ্যাংশ নিয়ে সন্তুষ্ট নই। কী ভাবে ভারতকে এত টাকা দেওয়া হবে তা ব্যাখ্যা করুক আইসিসি। না হলে আমরা প্রস্তাব পাস হতে দেব না।” যদিও অনায়াসেই সেই প্রস্তাব আইসিসি-র বোর্ড বৈঠকে পাস হয়ে যায়।