তিন ম্যাচ আগে তরতর করে ছুটছিল বার্সেলোনার বিজয়রথ। কিন্তু শেষ তিন ম্যাচে আট পয়েন্ট নষ্ট করেছে তারা। এ বার অবনমনের মুখে থাকা লা পামাসের কাছে ১-২ গোলে হেরেছে তারা। এই হারের ফলে চাপে পড়ে গিয়েছে বার্সেলোনা। তাদের ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে রিয়াল মাদ্রিদ। নিজেদের ম্যাচ জিতলে বার্সাকে টপকে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে তাদের কাছে।
দু’ম্যাচ রিয়াল সোসিয়াদাদের কাছে হেরেছিল বার্সা। পরের ম্যাচে সেল্ট ভিগোর বিরুদ্ধে ড্র করে তারা। এ বার পচা শামুকে পা কাটল তাদের। এই ম্যাচের আগে ১৪টি ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে অবনমনের মুখে দাঁড়িয়ে ছিল পামাস। অবনমনে থাকা ভ্যালেন্সিয়ার থেকে মাত্র ২ পয়েন্ট এগিয়ে ছিল তারা। দুর্বল পামাসের বিরুদ্ধে বার্সেলোনার জিততে সমস্যা হওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু মাঠে তার উল্টো ছবি দেখা গেল।
এই ম্যাচেও শুরু থেকে খেলেননি লামিন ইয়ামাল। তবে বাকিরা সকলেই ছিলেন। তার পরেও প্রথমার্ধে গোলের মুখ খুলতে পারেনি বার্সা। অনেক বেশি আক্রমণ করেও তা কাজে লাগাতে পারেনি তারা। দ্বিতীয়ার্ধে ৪৯ মিনিটের মাথায় খেলার গতির বিপরীতে পামাসকে এগিয়ে দেন স্যান্দ্রো র্যামিরেজ়। ৬১ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরান রাফিনহা। দেখে মনে হচ্ছিল, এই গোল বার্সাকে বদলে দেবে। কিন্তু কোথায় কী? ৬৭ মিনিটে ফাবিয়ো সিলভার গোলে আবার পিছিয়ে পড়ে বার্সা। আর গোল করতে পারেনি তারা। পরিবর্ত হিসাবে নেমে দলকে জেতাতে পারেননি ইয়ামালও। ১-২ গোলে হেরে মাঠ ছাড়তে হয় হান্সি ফ্লিকের ছেলেদের।
গোটা ম্যাচে বার্সার বলের দখল ছিল ৭১ শতাংশ। প্রতিপক্ষের গোল লক্ষ্য করে ২৭টি শট মারলেও মাত্র এক বারই বল জালে জড়াতে পেরেছে তারা। অন্য দিকে পামাস মাত্র পাঁচটি শট মেরে দু’টি গোল করেছে। ফুটবলই গোলই শেষ কথা। সেটাই করে দেখিয়েছে পামাস। কয়েক দিন আগেই কুবার্সি, কুন্ডে, মার্তিনেসদের যে রক্ষণ প্রতিপক্ষকে আটকে রাখছিল সেই রক্ষণই ভেঙে পড়ছে বার বার।
এই হারের পর ১৫ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট বার্সার। এখনও শীর্ষে রয়েছে তারা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ১৩ ম্যাচে ৩০। অর্থাৎ, দু’টি ম্যাচ কম খেলেছে তারা। রিয়াল পরের দু’টি ম্যাচ জিতলে পয়েন্ট তালিকায় বার্সাকে টপকে যাবে। কয়েক দিন আগে পর্যন্ত লা লিগায় বার্সা যে দাপট দেখাচ্ছিল, তা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে মরিয়া কার্লো আনচেলোত্তির ছেলেরা।