ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) জন্য এনুমারেশন ফর্ম বিলি করতে গিয়ে অঘটন। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন হুগলির কোন্নগরের বুথ স্তরের আধিকারিক (বিএলও) তপতি বিশ্বাস। রাস্তাতেই পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা জানান, প্রৌঢ়ার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। অর্থাৎ, সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছে তাঁর। বর্তমানে তিনি কোন্নগর পুরসভার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরিবারের অভিযোগ, এসআইআর-এর কাজের চাপ এবং দুশ্চিন্তা থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে।
কোন্নগর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিএলও-র দায়িত্ব পালন করছেন তপতি। তিনি কোন্নগর নবগ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। পরিবার সূত্রে খবর, তপতির বয়স ৬০ বছরের কাছাকাছি। সেরিব্রাল অ্যাটাকের কারণে তাঁর বাঁ দিক অবশ হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
তপতির স্বামী প্রবীর বিশ্বাস জানিয়েছেন, এসআইআর-এর ফর্ম বিলি করা, তা জমা নেওয়া, তার তথ্য অ্যাপে আপলোড করার কাজের চাপ তপতি নিতে পারছিলেন না। নাজেহাল হয়ে পড়েছিলেন গত কয়েক দিনে। ইন্টারনেটের সমস্যার কারণে কিউআর কোড স্ক্যান করে ফর্মের তথ্য আপলোড করা যাচ্ছিল না। চিন্তায় রাতে ঘুমোতে পারছিলেন না তাঁর স্ত্রী। অভিযোগ, ফর্ম জমা নেওয়ার জন্য ঘন ঘন ফোন আসছিল। তপতি পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন।
তপতির বুথে মোট ১০১৬ জন ভোটার। তাঁদের মধ্যে এখনও ৪৫ জনকে এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া বাকি। এমনিতেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। স্বামী এবং অন্যান্য পরিচিতেরা বিএলও-র দায়িত্ব না-পালনের পরামর্শ দিয়েছিলেন তপতিকে। কিন্তু তিনি জানান, দায়িত্ব না-নিলে চাকরি থাকবে না।
পরিবার এসআইআর-এর কথা বললেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তপতির রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি। উচ্চ রক্তচাপও রয়েছে। সেই কারণে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। নিয়মিত ওষুধ না-খাওয়ার কারণে রক্তচাপ এবং সুগার নিয়ন্ত্রণে ছিল না প্রৌঢ়ার। তবে আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। হাসপাতালে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি।

