আজ ভোর থেকে আরামবাগ মহকুমাজুড়ে চারটি এলাকায় ইনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্টের অভিযান চলে। সাতসকালে নিজেদের এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর আনাগোনা দেখে আতঙ্কিত হয় এলাকার বাসিন্দারা। আরামবাগের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিবেকানন্দ পল্লী, আমতলা, পারুল ও আরামবাগের জয়রামপুরে একটি রিসর্টে হানা দেয় ইডি। ইডি অফিসারদের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী।
সারোদা, রোজ ভ্যালি সহ একাধিক মানি মার্কেটিং কোম্পানি বন্ধ হয়েছে দীর্ঘদিন আগে। জেলে রয়েছেন একাধিক মানি মার্কেটিং কোম্পানির কর্তা। কিন্তু মানি মার্কেটিং বন্ধ হয়ে গেলেও স্বল্প সময়ে টাকা কয়েকগুণ করে দেওয়ার প্রলোভন কিন্তু বন্ধ হয়নি এখনো। মানি মার্কেটিং- এর নামে ঘুর পথে তা শেয়ার মার্কেট ট্রেডিং- এ পরিণত করেছে প্রতারকরা। আরামবাগে গড়ে উঠেছিল এলএফএস ব্রোকিং কোম্পানি। এই কোম্পানির কর্ণধার ছিলেন সৈয়দ জিয়াজুল রহমান। বর্তমানে তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন। অভিযোগ ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগে প্রতিমাসে তিন হাজার টাকা করে মুনাফা দেওয়ার লোভ দেখাতো এই কোম্পানি। তারা জানাতো বিভিন্ন শেয়ার মার্কেটে এই টাকা খাটিয়ে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। এই কোম্পানির অধীনে তৈরি হয়েছিল আরামবাগে বিলাসবহুল রিসর্ট। পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। কয়েক মাস আগে বিপুল পরিমাণ অর্থসহ বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার হয় এই কোম্পানির কর্ণধার সৈয়দ জিয়াজুল রহমান।
প্রায় বছরখানেক আগে দমদমের বাসিন্দা মানস সিনহা নামে এক ব্যক্তি আরামবাগের এই অফিসে তার জমানো টাকা ও মুনাফা ফেরত নিতে আসে। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, এই অফিসের ছাদ থেকে তাকে ফেলে দেওয়া হয়। মৃত্যু হয় তাঁর। অভিযোগ দায়ের হয় আরামবাগ থানায়। আজ সকাল থেকে জিয়াজুল রহমানের ব্যবসায়ী পার্টনার, কর্মী ও ছায়া সঙ্গীর বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। ভোর থেকে চলে অভিযান।
এলাকার কৌতুহলী মানুষ কেন্দ্রীয় বাহিনীর আনাগোনা ছাড়া অন্দরের পরিস্থিতি অনুমান করতে পারছে না। আর্থিক তছরূপে এই অভিযানে সকাল থেকেই চাঞ্চল্য ছড়ায় আরামবাগে।