সুপার কাপে গ্রুপের সহজতম প্রতিপক্ষের কাছে আটকে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ডেম্পোর সঙ্গে প্রথম ম্যাচে তারা ড্র করেছে। অন্য দিকে মোহনবাগান ২-০ গোলে চেন্নাইয়িনকে হারিয়ে দিয়েছে। ফলে দ্বিতীয় ম্যাচে চেন্নাইয়িনকে খেলার আগে কিছুটা হলেও চাপে ইস্টবেঙ্গল। যদিও কোচ অস্কার ব্রুজ়ো আশায় আছেন যে, স্পেন বা রিয়াল মাদ্রিদের মতো ইস্টবেঙ্গলও প্রত্যাবর্তন ঘটানোর ক্ষমতা রাখে। অন্য দিকে, চাপমুক্ত মোহনবাগান কোচ হোসে মোলিনা কিছুটা হলেও বিরক্ত গোয়ার মাঠ নিয়ে।
অতীতে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে প্রথম ম্যাচে আটকে গিয়েও কোয়ার্টারে উঠেছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই প্রত্যাবর্তন তো বটেই, অস্কার অনুপ্রেরণা নিচ্ছেন স্পেন এবং রিয়াল মাদ্রিদের থেকেও। এ দিন বলেছেন, “চ্যালেঞ্জ লিগে প্রথম ম্যাচ ড্র করেও পরের রাউন্ডে গিয়েছিলাম। আন্তর্জাতিক ফুটবলেও এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে। স্পেন ২০১০ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে সুইৎজ়ারল্যান্ডের কাছে আটকে গিয়েও ট্রফি জিতেছিল। রিয়াল মাদ্রিদ অনেক বার প্রথম পর্বে খারাপ খেলেও দ্বিতীয় পর্বে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আমরা তার থেকে অনুপ্রেরণা নিচ্ছি।”
ডেম্পোর বিরুদ্ধে মনোযোগ ঠিক না রাখার জন্যই যে পয়েন্ট খুইয়েছেন তা মেনে নিয়েছেন অস্কার। বলেছেন, “আমরা খারাপ খেলছি না। তবে মনোযোগের ভুলে গোল খেয়ে যেতে হচ্ছে। সেটা কাটাতেই হবে। আমরা জানি সামনে মরণ-বাঁচন ম্যাচ। কোনও ভুল করলে চলবে না। তা হলেই প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যেতে হবে।”
মোহনবাগানের বিরুদ্ধে চেন্নাইয়িন খেলেছে ৫-৪-১ ছকে। অর্থাৎ বিদেশিহীন হওয়ায় ঘর সামলে আক্রমণে ওঠার পন্থা নিয়েছে তারা। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধেও একই পথে তারা হাঁটতে পারে বলে মনে করছেন অস্কার। তাঁর কথায়, “মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ওদের খেলা দেখেছি। প্রতি আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলে। সুযোগ পেলেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করে। ওদের ভুলের সুযোগ নিয়ে গোল করতে হবে। আগের ম্যাচে বিপক্ষ আমাদের দুটো ভুলের সুযোগে গোল করেছে। সেটা এই ম্যাচে হতে দিলে চলবে না।”
এ দিকে, রবিবারের অনুশীলনে ভেজা মাঠে চোট পেয়েছিলেন মোহনবাগানের দীপক টাংরি। তিনি সুস্থ। সোমবার দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন পুরোমাত্রায়। এ দিন অনুশীলনে টিম বাস থেকে আগে নেমে টাংরির জন্য অপেক্ষা করছিলেন শুভাশিস বসু এবং জেসন কামিংস। টাংরি নামতেই তাঁরা চিৎকার করে ওঠেন। কামিংস বলেন, “ও লড়াকু ছেলে। ঠিক সামলে নেবে।”
কোচ মোলিনা ডেম্পোকে নিয়ে সাবধানী। বলেছেন, “ওরা প্রথম ম্যাচেই নিজেদের প্রমাণ করেছে। ইস্টবেঙ্গলকে আটকে দেওয়া সহজ কাজ নয়। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। বরাবরের মতোই মাঠে নেমে নিজেদের সেরাটা দিতে হবে।”
তার পরেই মোলিনা বলেছেন, “যে দুটো মাঠে আমরা অনুশীলন করেছি সেগুলো ভয়ঙ্কর। কোনও ভাবেই পেশাদার ফুটবলের মাঠ নয়। ওই মাঠে অনুশীলন করা যায় না। তবু সমস্যা আমরা মেনে নিয়েছি। তার মধ্যেই অনুশীলনের চেষ্টা করছি। বৃষ্টিতে একটু হলেও খেলতে সমস্যা হচ্ছে।”

