এগিয়ে থেকেও ফের তিন পয়েন্ট মাঠে ফেলে এল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। মরসুম বদলায়। ফুটবলার, হেড কোচ ও সাপোর্ট স্টাফে বদল আসে। তবে এগিয়ে থেকেও গোল হজম করার সেই পুরনো রোগ আর সারল না। ফলে সোমবার অর্থাৎ ২৪ জুলাই, দলের হেড কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের (Carles Cuadrat) সামনেই ১-১ গোলে ড্র করল ইস্টবেঙ্গল। প্রথম ম্যাচে রেনবো এফসি-র (Rainbow FC) বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করলেও, নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই পশ্চিমবঙ্গ পুলিসকে (West Bengal Police) ৪-২ গোলে জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC)। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২০ জুলাই খিদিরপুরকে (Kidderpore FC) ২-০ গোলে হারায় লাল-হলুদ। তবে এবার গোলকিপারের ভুলে আর জয়ের মুখ দেখল না বিনো জর্জের (Bino George) দল। বিএসএস-এর (BSS) কাছে ১-১ গোলে ড্র করল ইস্টবেঙ্গল।
ম্যাচের একেবারে শেষে অর্থাৎ ৯০ মিনিটের মাথায় দীপ সাহার গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ফ্রি কিক থেকে অনবদ্য গোল করেন তিনি। নৈহাটিতে স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে থাকা সমর্থকেরা মনে করেছিলেন, ৩ পয়েন্ট নিশ্চিত। কিন্তু সেই রেশ কাটতে না কাটতেই গোল শোধ করে দেন বিএসএস-এর ভবানী। ফলে ফের ড্র বিনো জর্জদের। লাল-হলুদকে আটকে দিয়ে আত্মবিশ্বাস পেল বিএসএস।
এদিকে শুরতেই ধাক্কা খায় ইস্টবেঙ্গল। বিএসএসের ফুটবলারকে ধাক্কা মারায় লাল কার্ড দেখলেন তুহিন দাস। তাঁকে লাল কার্ড দেখালেন প্রাঞ্জল বন্দ্যোপাধ্যায়। ম্যাচের বয়স তখন মাত্র ১৫ মিনিট। ১০ জন হয়ে যায় লাল-হলুদ। খেলা শেষ হওয়ার আগে, ৮৮ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন বিএসএস-এর ফুটবলার নবকুমার দাস। জোড়া হলুদ কার্ড দেখায় লাল কার্ড নিয়ে মাঠ ছা়ড়তে হয় তাঁকে। তারপরই ইস্টবেঙ্গলের গোল। তবু শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট নষ্ট করল লাল-হলুদ।
অতিরিক্ত সময়ে বিএসএস-এর সৌরভ সেন সমতা ফেরান ম্যাচে। লাল-হলুদ গোলকিপারের ভুলে গোল হজম করতে হয় দলকে। বল বিপন্মুক্ত করার জন্য নিশাদ বেরিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন তিনি। সুযোগ বুঝে সৌরভ ইস্টবেঙ্গলের জালে বল জড়িয়ে দেন। ম্যাচের সেরা হন সৌরভ সেন।
এদিকে ভোররাতে কলকাতা পৌঁছন ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। দলের নতুন কোচকে স্বাগত জানাতে কলকাতা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন প্রায় শতাধিক লাল হলুদ সমর্থক। নতুন কোচ শহরে পা রাখতেই তাঁকে সংবর্ধনা দেন ভক্তরা। দপুরে স্প্যানিশ কোচ এবং তাঁর সহকারীরা লিগে ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন। তাঁর সামনেই ম্যাচ ড্র করল লাল-হলুদ।