প্রথম ম্যাচে সাউথ ইউনাইটেড এফসি-কে ৫-০ গোলে চূর্ণ করে ১৩৪তম ডুরান্ড কাপের অভিযান শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল| বুধ সন্ধ্যায় যুবভারতীতে দ্বিতীয় ম্যাচে নামধারী এফসি-র বিরুদ্ধে খেলল লাল-হলুদ| ১৬ বারের ডুরান্ড চ্যাম্পিয়নরা, পঞ্জাবের দলকে ১-০ হারিয়ে, গ্ৰুপ শীর্ষে উঠে চলে গেল কোয়ার্টার ফাইনালে।
প্রথমার্ধ
ইস্টবেঙ্গল-নামধারীর প্রথমার্ধের খেলাটা, কার্যত নামধারীর বক্সের মধ্যেই চলছিল! ইস্টবেঙ্গল বারবার আক্রমণ করে একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল| কিন্তু দুর্ভাগ্যই সঙ্গী হল! কখনও বল রক্ষণে আটকে গেল, কখনও আবার মিগুয়েলের তিনটে শটই গোলপোস্টে লেগে ফিরল! কিছুতেই যেন গোলের মুখ খুলতে পারলেন না দিমি-বিপিন-সাউল-মিগুয়েলরা! চূড়ান্ত ব্যাডলাক বললেও কমই…
দ্বিতীয়ার্ধ
গোলের খোঁজে হন্যে হয়ে ওঠা লাল-হলুদের প্রথম গোল পেতে সময় লেগে গেল ৬৮ মিনিট| ঠিক সাত মিনিট আগে কোচ অস্কার ব্রুজোর এক চালেই এল গোল| দিয়ামানটাকোসকে তুলে তিনি হামিদ আহদাদকে নামিয়ে ছিলেন| মরক্কোর ফরোয়ার্ড লাল-হলুদ অভিষেকেই মাতিয়ে দিলেন| মিগুয়েলের ভাসানো ক্রস থেকে মাথা দিয়ে ট্যাপ করে তেকাঠিতে জড়িয়ে দেন| আমেরিকার মহম্মদ রশিদ আগের ম্যাচেই অভিষেক করেছিলেন| নতুন চার বিদেশির মধ্যে এদিন বাকি তিন বিদেশিরও লাল-হলুদ জার্সিতে এক ম্যাচ খেলা হয়ে গেল| ব্রাজিলিয়ান মিগুয়েল ও মরক্কোর হামিদ ছাড়াও খেললেন আর্জেন্টাইন কেভিন সিবিলি| তবে এদিন জিতলেও গোলের সুযোগ নষ্টের ব্যাপারটা, নিঃসন্দেহে ভাবাবে ইস্টবেঙ্গলকে।